বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষাকর্মীদের বিক্ষোভ। নিজস্ব চিত্র
চাকরি স্থায়ী করা-সহ একাধিক দাবিতে অস্থায়ী শিক্ষাকর্মীদের আন্দোলন শুরু হল গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে। অভিযোগ, সোমবার দুপুর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি কন্ট্রোলার তথা অ্যাকাউন্টস অফিসার বিনয় হালদারকে ঘেরাও করে রাখেন শিক্ষাকর্মীরা। মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত তিনি ঘেরাও হয়ে থাকেন নিজের দফতরে। বিনয় বলেন, ‘‘আমি এগজিকিউটিভ কাউন্সিলের এক জন সদস্য মাত্র। শিক্ষাকর্মীদের দাবি মেটানো নিয়ে আমার কিছু করার নেই। কেন আমাকে ঘেরাও করে রাখা হয়েছে
জানি না।’’
এ দিকে মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটক আটকে দিনভর বিক্ষোভ দেখান শিক্ষাকর্মীরা। শিক্ষাকর্মীরা জানিয়েছেন, তাঁদের দাবি না মানা পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। রেজিস্ট্রার এ দিন বিশ্ববিদ্যালয় আসেননি। তিনি জানিয়েছেন, পুরো ঘটনা ই-মেলে শিক্ষামন্ত্রী এবং উচ্চ শিক্ষা দফতরের প্রধান সচিবকে জানানো হয়েছে। সমস্যা মেটানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।
চাকরি স্থায়ীকরণ-সহ ১০ দফা দাবিতে গত নভেম্বর থেকে টানা একমাস বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মবিরতি পালন করেছিলেন ১২১ জন অস্থায়ী শিক্ষাকর্মী। সেই আন্দোলনে শামিল হন ২৯ জন সাফাইকর্মীও। আন্দোলনে কার্যত অচল হয়ে পড়েছিল বিশ্ববিদ্যালয়।
আন্দোলনকারী শিক্ষাকর্মীদের দাবি, গত ১৮ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের এগজিকিউটিভ কাউন্সিলের সভায় তাঁদের দাবির বেশিরভাগ অংশ মেনে নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ২৪ জানুয়ারি কাউন্সিলের পরের সভায় তা থেকে সরে আসেন কর্তৃপক্ষ। তারই প্রতিবাদে সোমবার বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে ঝাড়ু হাতে বিক্ষোভ মিছিল করেছিলেন সাফাইকর্মীরা। তাঁদের সঙ্গে আন্দোলনে শামিল হয়েছিলেন শিক্ষাকর্মীরাও। ‘সারা বাংলা তৃণমূল শিক্ষাবন্ধু সমিতি’র গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি শুভায়ু দাস বলেন, ‘‘দাবিপূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।’’ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বিপ্লব গিরি বলেন, ‘‘অস্থায়ী শিক্ষাকর্মীদের বেতনবৃদ্ধি নিয়ে এগজিকিউটিভ কাউন্সিলের সভায় নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। অস্থায়ী কর্মীদের জন্য সরকারি তরফে কোনও নির্দেশিকা জারি হলে বিশ্ববিদ্যালয় তাঁদের বেতন বাড়াতে পারবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy