কবে খুলবে স্কুল, চিন্তায় পড়ুয়ারা। দাড়িভিটে। ছবি: বিশ্বরূপ বসাক
শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বসার চেয়ার-টেবিল নেই। বেশির ভাগ বেঞ্চ ভেঙে চুরমার। অফিসের অনেক নথিও লোপাট। হাজিরা খাতা খোলা মাঠে পড়ে রয়েছে। ফ্যানগুলো দোমড়ানো—এ হেন লন্ডভন্ড অবস্থা সামলে ইসলামপুরের দাড়িভিট হাই স্কুল কবে খুলবে তা নিয়ে চরম অনিশ্চয়তায় পড়ুয়ারা। উপরন্তু, পুলিশের উপরে হামলার মামলায় কখন, কাকে ধরা হতে পারে সেই ভয়ও রয়েছে অনেকের মধ্যে। আতঙ্কে অনেকে পড়ুয়াই আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে চলে গিয়েছেন।
ওই স্কুলের পড়ুয়া অর্পিতা, মৌমিতা, সুনীলরা বলে, ‘‘আমরা ঘোর সংশয়ে রয়েছি। ক’দিন পরেই পুজোর ছুটি শুরু হবে। তার আগে স্কুল না খুললে অনেক সমস্যা হয়ে যাবে।’’ এক ছাত্রী শিউলি মজুমদার বলে, ‘‘কী করে স্কুলে যাব! যে স্কুলে শিক্ষক চাইতে গেলে পুলিশ গিয়ে গুলি চালায়। বোমাও পড়ে। সেখানে গেলে জীবন নিয়ে ফিরতে পারব তো?’’ স্কুলের পড়ুয়াদের ও অভিভাবকদের রাতের ঘুম উবে গিয়েছে।
পাশের প্রাথমিক বিদ্যালয়টিও ঘটনার পরের দিন থেকে অঘোষিত ভাবে বন্ধই। বাজার-হাট, ব্যবসা বাণিজ্য লাটে উঠেছে। চা পাতা তোলা হয়নি। এলাকার বেশির ভাগ মানুষ কৃষিজীবী। স্থানীয় বাসিন্দা দুলাল শিকদারের কথায়, ‘‘ক’দিন ধরে ফসল মাঠে পড়ে নষ্ট হচ্ছে। চাষ করে সংসার চলে। একে তো রাতে পুলিশের ভয়ে বাড়িতে থাকতে পারছি না। তার উপরে এই অচলাবস্থা কত দিন চলবে তা নিয়ে খুবই দুশ্চিন্তায় আছি।’’
এলাকায় স্কুলের সুস্থ পরিবেশ কবে ফিরবে তা জেলা প্রশাসনের কর্তারাও ঠিক করে বলতে পারছেন না। এ দিন প্রশাসনের কর্তারা জানিয়েছেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা নিয়ে সর্বদল বৈঠক হবে। উত্তর দিনাজপুর জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কার্তিকচন্দ্র মণ্ডল বলেন, ‘‘এলাকায় নজরদারি রাখা হচ্ছে।’’ স্কুলের পঠনপাঠন কবে থেকে চালু হবে সেই বিষয়ে নিশ্চিত করে বলতে পারেনি স্কুল পরিচালন সমিতি। সমিতির এক সদস্য বলেন, ‘‘জানি না কবে স্কুল স্বাভাবিক হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy