মৃতের দেহ নিয়ে যাওয়া হচ্ছে হাসপাতালে। নিজস্ব চিত্র।
হাত-পা বেঁধে, বাঁশ দিয়ে লাগাতার মারধর করে বাবাকে খুন করার অভিযোগে গ্রেফতার হল ছেলে। সোমবার সকালে জলপাইগুড়ির ঠাকুরেরকামাত গ্রামের ঘটনা। পুলিশ জানায়, নিহতের নাম মানিক রায় (৪২)। এ দিন খবর পেয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে অভিযুক্ত ছেলে সঞ্জয় রায়কে গ্রেফতার করে কোতোয়ালি থানায় পুলিশ। আপাতত তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। সঞ্জয়ের উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানিয়েছেন গ্রামবাসী।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় তিন বছর আগে ঠাকুরেরকামাত গ্রামে পরিবার নিয়ে এসেছিলেন পেশায় কাঠমিস্ত্রি মানিক। বাড়িতে স্ত্রী, তিন সন্তান ও শাশুড়ি থাকেন। পড়শিদের দাবি, প্রায়ই ওই পরিবারে বিবাদ হত। কয়েক বার গ্রামবাসী ও স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যা বিবাদ মেটানোর চেষ্টা করলেও, কাজের কাজ কিছুই হয়নি। মৃতের পরিবারের দাবি, এ দিন সকাল থেকে বাড়িতে ঝগড়া হচ্ছিল সঞ্জয় ও তার বাবার মধ্যে। সে সময় ঘর থেকে টেনে-হিঁচড়ে বাবাকে বের করে নিয়ে যায় সঞ্জয়। এর পরে দড়ি দিয়ে তাঁর হাত-পা বেঁধে উঠোনে ফেলে রাখে সঞ্জয়। অভিযোগ, পরিবারের অন্যেরা বাধা দিতে গেলে সবাইকেই মারধর করে সঞ্জয়। এর পরে বাঁশ দিয়ে সঞ্জয় বেধড়ক মারধর করলে সেখানেই মৃত্যু হয় মানিকের।
পুলিশ অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করে সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল নিয়ে গেলে চিকিৎসক মানিককে মৃত ঘোষণা করেন। পুলিশ সূত্রের দাবি, ধৃত সঞ্জয় পুলিশের কাছে জানিয়েছে, প্রতিদিন তার উপরে ‘অত্যাচার’ করতেন মানিক। তবে মারধরের জেরে বাবা মারা যাবেন, এটা বুঝতে পারেনি সে। গ্রামবাসী দিলীপ রায় বলেন, ‘‘অনেকবার বাবা ও ছেলের বিবাদ মেটানোর চেষ্টা করেও আমরা ব্যর্থ হয়েছি।’’
স্থানীয় মণ্ডলঘাট পঞ্চায়েতের সদস্য সামসুর নেহারের দাবি, ‘‘দীর্ঘদিনের বিবাদ ওঁদের। বিবাদ মেটানোর চেষ্টা করা হয়েছিল। এ দিন সকাল থেকে ঝামেলা, পরে, খুনের ঘটনা ঘটে গেল।’’ ডিএসপি (সদর) সমীর পাল বলেন, ‘‘বাবাকে খুন করার অভিযোগে ছেলেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তদন্ত শুরু হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy