প্রসূতি বিভাগ থেকে শুরু করে মহিলা বিভাগ। মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের ওই ওয়ার্ড গুলিতে গত এক বছরে একাধিকবার দেখা গিয়েছে সাপ। তবে সাপ ছোবল দিয়েছে এমন ঘটনা আগে কখনও ঘটেনি বলে দাবি হাসপাতালের এক আধিকারিকের।
মঙ্গলবার ভোর ৩টে নাগাদ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের জরুরি বিভাগের পাশে ফাঁকা জায়গায় রাত কাটাতে গিয়ে সাপের ছোবল খেয়েছেন কালিয়াচকের শেরশাহি গ্রামের বাসিন্দা জাকিয়া বিবি। এখনও তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। চিকিৎসকদের পরামর্শে দুচোখের পাতা এক করছেন না জাকিয়া দেবী। মায়ের পাশেই বসে বড়ো মেয়ে জুসমা বিবি। তিনি বলেন, ‘‘চিকিৎসকেরা মাকে ঘুমোতে নিষেধ করেছেন। আর ঘুম পেলেই আমাদের জানাতে বলেছেন। তাই মায়ের পাশে সব সময় বসে রয়েছি আমি।’’
মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের সুপার তথা সহ অধ্যক্ষ অমিত কুমার দাঁ বলেন, ‘‘সাপে কাটা রোগীদের ৪৮ ঘন্টা নজরে রাখা হয়। ওই রোগী সুস্থ রয়েছেন। তবুও তাঁকে আমরা নজরে রেখেছি। আর সাপে কামড়ের আধ ঘণ্টার মধ্যে রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে ৮০ শতাংশ রোগীই সুস্থ হয়ে ওঠেন।
এ দিন জরুরি বিভাগ ও নায্যমূল্যের ওষুধের দোকানের মাঝে ফাঁকা জায়গায় ঘুমিয়ে ছিলেন জাকিয়া বিবি। জাকিয়া দেবী ছিলেন নর্দমার পাশে। সেই সময় তাঁকে একটি ছোট সাপ কপালে কামড় দেয়। তড়িঘড়ি তাঁকে অ্যান্টি ভেনাম প্রতিষেধক দেওয়া হয়। মঙ্গলবার রাতে চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন এখনও তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল। তবে আতঙ্কে রয়েছেন অন্যান্য রোগীর আত্মীয় পরিজনরা।
সাপটিকে নর্দমায় ঢুকতে দেখেছেন অনেকেই। কিন্তু খোঁজ করেও সাপের হদিশ মেলেনি। পুকুরিয়ার বাসিন্দা আতাউল রহমান বলেন, ‘‘আমরা জরুরি বিভাগ থেকে ৫০ মিটার দূরে ঘুমিয়েছিলাম। আর মহিলা জরুরি বিভাগের পাশেই ঘুমিয়েছিলেন। হঠাৎ সাপ সাপ চিৎকার শুনতে পাই। তড়িঘড়ি গিয়ে একটি সাপ দেখতে পাই। নালার মধ্যে ঢুকে যায় সেটি। ফলে রাত কাটাতে খুবই ভয় হচ্ছে।’’
কেন বারবার হাসপাতালে সাপ ঢুকছে তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। এক আধিকারিক বলেন, ‘‘হাসপাতালের চারপাশে ঝোপ জঙ্গল রয়েছে। এছাড়া নির্মাণ কাজও চলছে। যার ফলে সাপের দেখা মেলে প্রায়।’’ এদিনই বিকেলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও পুরসভা কর্তৃপক্ষ বৈঠক করেন। হাসপাতালের তরফে কার্বোলিক অ্যাসিড ছড়ানো হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy