ফাইল চিত্র।
শিলিগুড়ি-জলপাইগুড়ি উন্নয়ন পর্ষদের (এসজেডিএ) তৈরি চতুর্থ ও পঞ্চম মহানন্দা সেতুর নকশা মিলছে না বলে দাবি করলেন এসজেডিএ-র চেয়ারম্যান সৌরভ চক্রবর্তী। শুক্রবার তিনি এ কথা জানান। যদিও তাঁর আশ্বাস, ‘‘সেতুগুলি নিয়ে চিন্তার কোনও বিষয় নেই। আমাদের থেকে পূর্ত দফতরের কর্মক্ষমতা বেশি। সেগুলি তাদের কাছে পাঠানো হবে।’’
এসজেডিএর অধীনে ২০০৯-এ চতুর্থ ব্রিজ তৈরি শুরু হয়েছিল। প্রায় ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে তা শেষ হয় ২০১৬-তে। নৌকাঘাট থেকে কাওয়াখালি পর্যন্ত এই সেতু উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের সঙ্গে শহরের যোগাযোগ রক্ষায় খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পঞ্চম সেতুর কাজও বাম আমলে শুরু করেছিল এসজেডিএ। এসজেডিএ-র তৎকালীন চেয়ারম্যান অশোক ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘সৌরভবাবুরা সাত বছর ধরে ওই দফতর চালান। নকশা না পাওয়া গেলে তো সেটা ওঁর ব্যর্থতা।’’
দু’মাস আগে এসজেডিএ-র তরফে সেতুগুলির অবস্থা খতিয়ে দেখার জন্য একটি কমিটি গড়া হয়েছিল। শহর এবং সংলগ্ন এলাকার বেশ কয়েকটি সেতু খতিয়ে দেখে ওই সংস্থা। তার ভিত্তিতে একটি রিপোর্টও তৈরি হয়। সূত্রের খবর, বেশিরভাগ সেতুর রক্ষণাবেক্ষণ নিয়ে চিন্তাপ্রকাশ করা হয়েছে। সেই রিপোর্ট পূর্ত দফতরের কাছে পাঠাচ্ছে এসজেডিএ। শিলিগুড়ি উড়ালপুল-সহ জোড়াপানি, ফুলেশ্বরী, বুড়িবালাসন, মহানন্দা নদীর উপরের সেতু নিয়ে মোট ১২টি সেতু দেখভালের দায়িত্বে রয়েছে এসজেডিএ। সৌরভবাবু জানান, সেতুগুলির অবস্থা খতিয়ে দেখতে নকশার প্রয়োজন। ওই দু’টি সেতুরও নকশা খোঁজা হয়েছিল। কিন্তু এসজেডিএ-র কাছে বা পূর্ত দফতরের কাছে সেগুলি মিলছে না জানান সৌরভবাবু।
কিন্তু সেতুর নকশা না মিললে তো সমীক্ষা হওয়াই সম্ভব নয়। সৌরভবাবুর আশ্বাস, তাঁরা একটি প্রাথমিক সমীক্ষা করেছেন। কীভাবে সেতুগুলি ঠিকমতো রক্ষণাবেক্ষণ করা যাবে, তা পূর্ত দফতরের পরামর্শেই করতে চায় এসজেডিএ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy