সম্মান: স্বস্তিকা মুখোপাধ্যয়ের হাতে শংসাপত্র তুলে দিচ্ছেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। ছবি: স্বরূপ সরকার
শিলিগুড়িতে প্রথম বার ফিল্ম ফেডারেশন অব ইন্ডিয়া আয়োজিত ‘গ্লোবাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে’ শুধু সিনেমা প্রদর্শন বা সিনেমাকে নিয়ে সেমিনার নয়, চলচ্চিত্র উৎসবের সঙ্গে পুরো মাত্রায় জোড়া হয়েছে পর্যটন। ফেস্টিভ্যালে যোগ দেওয়া বলিউড, টলিউডের প্রতিনিধিদের তিন দিনের জন্য ঘোরানো হচ্ছে উত্তরবঙ্গের পাহাড় ও ডুয়ার্স এলাকায়।
গজলডোবার ‘ভোরের আলো’ থেকে লাটপাঞ্চার, আহালদারা, নামথিং লেক, শিবখোলা বা সামসিং, ঝালং-এর মতো এলাকায়। দিনভর ওই ট্যুরের মধ্যে দিয়ে কলকাতার পাশাপাশি মুম্বই এবং দক্ষিণের প্রয়োজক, পরিচালক এবং বিভিন্ন বিনোদন সংস্থার প্রতিনিধিদের সামনে পাহাড়, জঙ্গল, চা বাগান, নদী, লেকের সৌন্দর্যকে তুলে ধরার পরিকল্পনাই তৈরি হয়েছে। এতে আগামী দিনে সিনেমার শ্যুটিংকে ঘিরে নতুন করে পর্যটন বিকাশে সম্ভাবনার কথা বলছেন অনেকেই।
ফেস্টিভ্যালের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে রাজ্য পর্যটন দফতরও। উদ্বোধন থেকে ফেস্টিভ্যালের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে থাকছেন মন্ত্রী গৌতম দেবও। তিনি বলেছেন, ‘‘৭০-৮০-র দশকে প্রচুর বলিউডি ছবির শ্যুটিং এখানে হয়েছে। এখনও হচ্ছে। উৎসবের প্রতিনিধিরা বিভিন্ন এলাকাগুলিতে যাবেন, ঘুরে দেখবেন। তাতে আগামীতে নিয়মিত এই অঞ্চলে শ্যুটিং হলে পর্যটনের বিকাশের সম্ভাবনা তৈরি হবে।’’
সিনেমার সঙ্গে দার্জিলিং জেলার সম্পর্ক বহু পুরানো। রাজেশ খান্না থেকে অমিতাভ বচ্চন বা দিলীপ কুমারের বিখ্যাত কয়েকটি ছবির শুট পাহাড়ে হয়। এর পরে দুই দফায় রাজু বন গয়া জেন্টেলম্যান বা ম্যায় হুঁ না-শুট করতে দার্জিলিঙে ছিলেন শাহরুখ খান। হেরিটেজ টয়ট্রেন নিয়ে শাহরুখ ছাড়াও সুকনায় পরিনীতার শ্যুটিং করে গিয়েছেন সইফ আলি খানও। দার্জিলিং এবং শিলিগুড়ি লাগোয়া এলাকা জুড়ে শুট হয় রণবীর কাপুরের বরফি। অভিষেক বচ্চন এবং জয়া বচ্চন রাজা সেনে’র দেশ ছবির জন্য পাহাড় থেকে ডুয়ার্সে থেকে গিয়েছেন। ব্যোমকেশের ছবিতে দেখা মিলেছে ডুয়ার্সের। গত বছরই দক্ষিণের সুপারস্টার রজনীকান্ত কার্শিয়াং এসেছিলেন। তাঁর নতুন ছবির জন্য মাস খানক ধরে কার্শিয়াং, ডাউহিল এলাকার শুট করে গিয়েছেন। ছবিটি আপাতত মুক্তির অপেক্ষায়। আবার টলিউডের অঞ্জন দত্ত থেকে কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায় বা অরিন্দম শীলদের ছবির প্রেক্ষাপটে বারবার উঠে এসেছে পাহাড়়, তরাই ডুয়ার্স।
কিন্তু বারবার পাহাড়ের রক্তক্ষয়ী আন্দোলন, হুটহাট বন্ধ-ধর্মঘটের জেরে এই অঞ্চলে আসতে চাননি এমন প্রযোজক, পরিচালকেরাও রয়েছেন। সরকারি এবং বেসরকারি তরফে বহুবার প্রচেষ্টার অভাবও রাখা হয়নি। গত এক বছর ধরে পাহাড়, তরাই বা ডুয়ার্সের পরিস্থিতি বদলেছে। এতেই আশার আলো দেখছেন সিনেমার সঙ্গে জড়িতরা। শিলিগুড়ি সিনে সোসাইটির সম্পাদক প্রদীপ নাগ জানান, সিনেমা নিয়ে এই অঞ্চলের মানুষের উৎসাব বরবারই। আমরা চলচ্চিত্র উৎসব ছাড়া বিভিন্ন কলেজে ফিল্ম অ্যাপ্রিসিয়েশন কোর্স চালু করছি। এত সুন্দর উত্তরবঙ্গকে ঘিরে শুটিং বাড়লে পর্যটনের প্রসার তো বটেই, তরুণ প্রজন্মের কাছে কর্মসংস্থান সুযোগও বাড়বে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy