ফাইল চিত্র।
দিল্লি সরকারের স্কুলশিক্ষার পরিকাঠামো পাহাড়ে প্রয়োগ করা যায় কি না, তা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। জিটিএ সূত্রের খবর, গত ৯ সেপ্টেম্বর প্রজাতান্ত্রিক মোর্চার প্রতিষ্ঠা দিবসে যোগ দিতে কার্শিয়াঙে এসেছিলেন জন আন্দোলন পার্টির নেতা হরকা বাহাদুর ছেত্রী। তিনি কালিম্পং স্কুল বোর্ডের চেয়ারম্যানও। তাঁর সঙ্গে এ নিয়ে জিটিএ চিফ এগজিকিউটিভ অনীত থাপার আলোচনা হয়। কয়েক বছরের মধ্যে দিল্লির সরকারি স্কুলগুলির যে ভাবে আগের হাল বদলে বেসরকারি স্কুলের পঠনপাঠনকে ছাপিয়ে যেতে বসেছে এবং দেশের বিভিন্ন রাজ্যের কাছে মডেল হিসাবে উঠে এসেছে, সে বিষয়টি ওই আলোচনায় উঠে আসে। পুরো বিষয়টি কী ভাবে সম্ভব হয়েছে, তা জানতে দিল্লিতে প্রতিনিধি দল পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেই দলে থাকবেন হরকা বাহাদুর ছেত্রী।
জিটিএ চিফ এগজিকিউটিভ অনীত বলেন, ‘‘পাহাড়ের শিক্ষার হাল ফেরানো অন্যতম লক্ষ্য। পরিকাঠামো উন্নয়ন ধাপে ধাপে হবে। কিছু স্কুলে কাজ শুরু হচ্ছে। দেশে দিল্লি-মডেল চর্চিত। বিদেশ থেকেও তা প্রশংসা পেয়েছে। তা দেখার জন্য প্রতিনিধি দল দিল্লি যাবে।’’ তিনি জানান, রাজ্যের তরফে শিক্ষা দফতর জিটিএ-তে হস্তান্তরিত হয়ে গিয়েছে। এখন দার্জিলিঙের শিক্ষার পুরনো সুনাম ফিরিয়ে আনার কাজ শুরু হবে।
২০১৫ সালে দিল্লি সরকার নতুন শিক্ষাব্যবস্থা চালু করে। উপ-মুখ্যমন্ত্রী তথা শিক্ষামন্ত্রী মনীশ শিসোদিয়ার নেতৃত্বে কাজ শুরু হয়। সরকার বাজেটের ২৫ শতাংশের মতো শিক্ষাখাতে খরচের সিদ্ধান্ত নেয়। যা সাধারণত বাকি রাজ্যে হয় না। স্কুলের প্রধান শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বিশেষ অর্থনৈতিক ক্ষমতা দেওয়া হয়। প্রাইমারি ও সেকেন্ডারি দু’ভাগে স্কুলগুলি ভাগ করা হয়। প্রথমে চলে বেসরকারি স্কুলের মতো শ্রেণিকক্ষ ও পরিকাঠামো তৈরি। নজর দেওয়া হয় সরকারি পাঠ্যক্রম, কোর্স মেটেরিয়াল, বইপত্র, ল্যাবরেটরির সরঞ্জামে। তার পরে সাপোর্ট স্টাফ বা রিসোর্স পার্সনদের নিয়োগ। শেষে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের কেমব্রিজ, ফিনল্যান্ড, সিঙ্গাপুর এবং আইআইএম-এ প্রশিক্ষণ। এই পরিকল্পনায় গত সাত বছরে বদলে গিয়েছে দিল্লির স্কুলের হাল। আগের চেয়ে ২১ থেকে ২৫ শতাংশ ছাত্রছাত্রী বেশি ভর্তি হচ্ছে। পরীক্ষার ফলাফলের ছবিও পুরোপুরি পাল্টে গিয়েছে। সরকারি স্কুলের চাহিদা বেসরকারি স্কুলের চেয়ে বেড়েছে।
এই ব্যবস্থা হাতেকলমে দেখে পাহাড়ে কতটা প্রয়োগ করা যায়, সেটাই চাইছে জিটিএ। সঙ্গে আঞ্চলিক স্কুল সার্ভিস কমিশন তৈরির কথাও চলছে। হরকা বাহাদুর বলেন, ‘‘অনীত থাপারা নতুন রকম চিন্তাভাবনা করছেন। আমি সাহায্য করতে তৈরি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy