ময়নাগুড়িতে লাইনচ্যুত মালগাড়ির পাঁচটি বগি। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
ময়নাগুড়িতে মালগাড়ি লাইনচ্যুত হওয়ার ঘটনায় উত্তরবঙ্গগামী বেশ কিছু ট্রেনের যাত্রাপথ বদল করেছে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল। যাত্রাপথ সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে দূরপাল্লার ট্রেনের। ফলে মঙ্গলবার সকাল থেকেই ভোগান্তির শিকার হতে হল যাত্রীদের। লাইনে পর পর দাঁড়িয়ে একাধিক ট্রেন। তার পরই উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের পক্ষ থেকে নির্দেশিকা জারি করে বেশ কয়েকটি ট্রেনের যাত্রাপথ পরিবর্তন এবং সংক্ষিপ্ত করার কথা জানানো হয়েছে।
রেল জানিয়েছে, ১১টি ট্রেনের যাত্রাপথ পরিবর্তন করা হয়েছে। সেই তালিকায় রয়েছে রাজধানী, সম্পর্কক্রান্তি, কামাখ্যা, ডিব্রুগড়-কামরূপ এক্সপ্রেসের মতো গুরুত্বপূর্ণ যাত্রিবাহী ট্রেন। বঙ্গাইগাংও-নিউ জলপাইগুড়ি এক্সপ্রেসের যাত্রাপথ সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে। ট্রেনটি নিউ জলপাইগুড়ির পরিবর্তে কোকরাঝাড় পর্যন্ত চলবে।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৬টা নাগাদ নিউ ময়নাগুড়ি স্টেশনের কাছে একটি মালগাড়ির পাঁচটি কামরা লাইনচ্যুত হয়। হতাহতের কোনও খবর পাওয়া না গেলেও দুর্ঘটনার কারণে ব্যাহত ওই লাইনের ট্রেন পরিষেবা। মাথাভাঙা এবং কোচবিহার হয়ে ট্রেন চলাচলের ফলে সমস্যায় পড়ছেন যাত্রীরা। বিশেষ করে ধূপগুড়ি এবং ফালাকাটা স্টেশন থেকে যে সব যাত্রী ট্রেন ধরেন, তাঁরাই বেশি সমস্যায় পড়ছেন। কারণ, ময়নাগুড়িতে দুর্ঘটনার ফলে সেই রুটে এখন ট্রেন চলছে না।
পদাতিক এক্সপ্রেসে চেপে আলিপুরদুয়ার যাওয়ার কথা ছিল পার্থ দে-র। কিন্তু সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরেও ট্রেন আসেনি। তাতেই চিন্তায় পড়েছেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘‘কত দেরি হবে, তা-ও রেলের তরফে কিছু জানানো হচ্ছে না। ঘুরপথে আলিপুরদুয়ার পৌঁছতে যথেষ্ট সময় লাগবে।’’ তাঁর দাবি, ‘‘বিগত এক থেকে দেড় মাসে নানা রকম রেল দুর্ঘটনা ঘটছে। রেলের এই বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা উচিত।’’ পাপিয়া সরকার নামে অন্য এক যাত্রীর কথায়, ‘‘জলপাইগুড়ি রোড স্টেশন থেকে ফালাকাটায় যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এখন আর কোনও উপায় নেই।’’ ট্রেন ছেড়ে তাই তিনি বাস ধরেন। গুয়াহাটির যাত্রী সুমন শেখ বলেন, ‘‘কখন ট্রেন আসবে, তার কোনও নিশ্চয়তা নেই। রেল থেকেও কোনও ঘোষণা নেই।’’ তাঁকেও বাস-পথেই গন্তব্যে পৌঁছতে হচ্ছে।
উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের জনসংযোগ আধিকারিক কপিঞ্জল কিশোর শর্মা জানিয়েছেন, ১০টির মতো দূরপাল্লার ট্রেন মাথাভাঙা-কোচবিহার হয়ে গন্তব্যে পৌঁছনোর চেষ্টা করছে। তাঁর কথায়, ‘‘যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আমরা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy