অনুপমের স্ত্রী তথা পানিহাটি পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মীনাক্ষী দত্ত
অনুপম দত্ত খুনে মূল অভিযুক্তের জামিনে মুক্তি পাওয়া নিয়ে এখনও উত্তেজনা রয়েছে পানিহাটি পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডে। নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন অনুপমের স্ত্রী তথা ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মীনাক্ষী দত্ত। এ নিয়েই বৃহস্পতিবার ব্যারাকপুরের পুলিশ কমিশনার অজয় ঠাকুরের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। কথা বলেন অনুপমের খুনের ঘটনায় তদন্তকারী অফিসার রাজকুমার সরকারের সঙ্গেও। মীনাক্ষী জানান, কমিশনারেটের কাছে স্বামীর সুবিচারের দাবি জানিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি, তাঁর নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে বলে জানান কাউন্সিলর।
সোমবার কলকাতা হাই কোর্ট থেকে জামিন পেয়েছেন পানিহাটি পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলর অনুপমকে খুনে মূল অভিযুক্ত বাপি ওরফে সঞ্জীব পণ্ডিত। সেই খবর শুনে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন মীনাক্ষী। মঙ্গলবার সাগর দত্ত হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরে এসেছেন তিনি। তার পর বৃহস্পতিবার পুলিশ কমিশনারেটের সঙ্গে দেখা করলেন মীনাক্ষী। সেখান থেকে বেরিয়ে তিনি বলেন, ‘‘আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। এ কথা জানিয়েছি পুলিশকর্তাদের। এই কথা শুনে আমার নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। পুলিশ কমিশনার সব রকম ভাবেই সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে।’’
ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনার আগেই জানিয়েছেন, অভিযুক্ত বাপির জামিনের কপি হাতে পেলে তা খারিজের আবেদন করা হবে সুপ্রিম কোর্টে। বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে মীনাক্ষীকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, ‘‘এখনও এ নিয়ে বিশেষ কথা হয়নি। পুলিশ আধিকারিকদের নির্দেশ মতোই বিষয়টি নিয়ে এগোনো হবে। পুলিশের কাছে আমার একটাই আর্জি, দোষীরা যাতে সাজা পায়। আমার স্বামী সুবিচার পান।’’
প্রসঙ্গত, ১৩ মার্চ সন্ধ্যায় আগরপাড়া নর্থ স্টেশন রোডে খুন হন অনুপম। রাতেই গ্রেফতার হয় দুষ্কৃতী অমিত পণ্ডিত। পরদিন গ্রেফতার হন বাপি। বিহার থেকে গ্রেফতার হন আগ্নেয়াস্ত্র সরবরাহকারী ধনঞ্জয় কুমার। খুনের জন্য আগে যে দুষ্কৃতী জিয়ারুল মণ্ডলকে সুপারি দেওয়া হয়েছিল, তাকেও গ্রেফতার করা হয়। উদ্ধার হয় দু’টি আগ্নেয়াস্ত্র। ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের গোয়েন্দারা জানতে পারেন, খুনের সুপারি দিয়েছিলেন বাপি। এমনকি, আগেই অন্য এক দুষ্কৃতীকে সুপারি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সে কাজটি না করায় পুর ভোটের পরেই অমিতকে কাজে লাগান বাপি।
সেই বাপি জামিনে ছাড়া পেতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন অনুপমের প্রতিবেশীরা। তাঁরা বি টি রোডের আগরপাড়া তেঁতুলতলা মোড়ে রাস্তা অবরোধ করেন। রাস্তার উপরে টায়ার জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। বিক্ষোভকারীদের হাতে তৃণমূলের পতাকাও ছিল। দাবি ওঠে, বাপিকে মুক্তি দেওয়া চলবে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy