প্রতীকী ছবি।
চতুর্থ লকডাউনের মধ্যেই আগামী ২৫ মে, সোমবার থেকে দেশের মধ্যে বিমান চলাচলের নির্দেশ জারি করল বিমান মন্ত্রক। বৃহস্পতিবার সকালে ওই নির্দেশিকা জারি হয়েছে। সরকারি সূত্রের খবর, একাধিক নিয়ম মেনে স্বঘোষিত মুচলেকা এবং আরোগ্যসেতু অ্যাপের স্ট্যাটাস দেখে বিমানে চড়া যাবে। বিমান চালু হলে এক একটি বিমানবন্দরে এক তৃতীয়াংশ বিমান প্রথমে কিছু দিন চলবে। এতে টিকিট ভাড়া আকাশছোঁয়া হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সরকারি নির্দেশ এসে পৌঁছতেই সকাল থেকে বাগডোগরায় প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ এখন বিমান সূচি এবং ডিজিসিএ-র নির্দেশের অপেক্ষায়। যদিও প্রথম দিন কোন কোন বিমান চলবে, তার সূচি সন্ধ্যা অবধি বাগডোগরায় এসে পৌঁছায়নি।
বাগডোগরা বিমানবন্দরের অধিকর্তা সুব্রমণী পি বলেন, ‘‘সোমবার থেকে বিমানবন্দর চালু রাখার নির্দেশ এসেছে। প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। কিন্তু কোনও সূচি আসেনি। বিমান কমবে তা ধরেই নেওয়া যেতে পারে। কোথাও ভিড় হতে দেওয়া যাবে না।’’
বুধবার বিমানমন্ত্রী হরদীপ সিংহ পুরী ট্যুইট করে বিমান চলাচলের বিষয়টি জানান। কিন্তু মন্ত্রক বা ডিজিসিএ-র তরফে রাত অবধি কোনও লিখিত নির্দেশিকা ছিল না। দেশে করোনা সংক্রমণ শুরু হতেই ২৫ মার্চ থেকে বিমান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। বাগডোগরার পারো-বাগডোগার-ব্যাংককের আন্তর্জাতিক উড়ানটি আরও কয়েক দিন আগে বন্ধ হয়। আপাতত মন্ত্রক থেকে বলা হয়েছে, আগের তুলনায় এক-তৃতীয়াংশ বিমান চলাচল করবে। বিমান পরিষেবা বন্ধের আগে বাগডোগরা থেকে রোজ ৩৫ জোড়া বিমান চলত। এখন তা কমে রোজ ১০-১২টি হবে। এতে এদিকে বাগডোগরার মতো ছোট টার্মিনালে সামাজিক দূরত্ব বজায় থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে।
বিমানবন্দরের অফিসারেরা জানিয়েছেন, ওয়েব চেক ইন, সামজিক দূরত্ব বজায় রাখা, স্বাস্থ্য নিয়ে যাত্রীদের হলফনামা, আরোগ্যসেতু অ্যাপের ব্যবহার, শুধুমাত্র চেক ইন ল্যাগেজ নেওয়া, যাত্রী আসনের মাঝে একটি করে চেয়ার খালি রাখা, টার্মিনালের সামনে থেকে বোর্ডিং গেট অবধি দূরত্বের নির্দেশ, সানিটাইজ়ারের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। দু’ঘণ্টা আগে যাত্রীদের বিমানবন্দরে আসতেই হবে। মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক। বাগডোগরার একটি গেট দিয়েই যাত্রীরা ভিতরে ঢোকেন, সেখানেই সিআইএসআই কর্মী এবং এএআই কর্মীরা থাকবেন। এখন শুধু প্রশ্ন, কোন কোন গন্তব্য দিয়ে বিমান চালু হবে।
ওই অফিসারেরাই মনে করছেন, মূলত বাগডোগরা থেকে দিল্লি, কলকাতা, গুয়াহাটির বিমান চালু করা হবে। মুম্বই, আহমেদাবাদ, চেন্নাইয়ের মতো শহরের সঙ্গে বাগডোগরা প্রথমেই জুড়বে কি না তা সূচিতে পরিষ্কার হবে। এত দিন একটি শহরের একাধিক বিমান চললেও এখন যাত্রীও কম হবেই, তাই বিমানের সংখ্যাও কমে যাবে। এতে টিকিটের দাম আকাশ ছোঁয়া হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। বিমান সংস্থাগুলি অবশ্য এদিন সন্ধ্যা অবধি কোনও টিকিট বিক্রি শুরু করেনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy