কোচবিহারে সায়ন্তন। —নিজস্ব চিত্র।
কোচবিহারে বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসুর সভার আগে মঞ্চে আগুন। তা নিয়ে নতুন করে ফের রাজনৈতিক টানাপড়েন শুরু। সভা বানচাল করতে তৃণমূলের লোকজনই মঞ্চে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ বিজেপির। কিন্তু তৃণমূলের দাবি, বিজেপির দলের লোকেরাই এ কাজ করেছে। মানুষকে বিভ্রান্ত করতে এখন তাদের নামে দোষ চাপাচ্ছে। শেষ পর্যন্ত পুড়ে যাওয়া মঞ্চে দাঁড়িয়েই বক্তৃতা করেন সায়ন্তন।
ভোটের আগে জেলায় জেলায় প্রচার অভিযান শুরু করে দিয়েছে গেরুয়া শিবির। শনিবার কোচবিহারের দিনহাটার পেটলার বড়ডাঙা এলাকায় সভা ছিল বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তনের। নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন হয়েছিল সেখানে। সভায় যোগ দিতে শুক্রবার রাতেই সেখানে পৌঁছে গিয়েছিলেন সায়ন্তন।
কিন্তু সায়ন্তনের সভার জন্য যে মঞ্চ তৈরি করা হয়েছিল, গভীর রাতে তাতে আগুন ধরে যায়। তা নিয়ে চরম উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। তবে এ দিন সকালে ওই পুড়ে যাওয়া মঞ্চে দাঁড়িয়েই সভা করেন সায়ন্তন। সেখানে তিনি বলেন, ‘‘নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর অনুষ্ঠান মঞ্চে যারা আগুন ধরিয়েছে, তারা যেন সুস্থ না থাকতে পারে সেই ব্যবস্থা করতে হবে বিজেপিকে। পুলিশকে বিশ্বাস করবেন না। পুলিশ দলদাসে পরিণত হয়েছে। যারা নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর অনুষ্ঠান মঞ্চে আগুন ধরিয়েছে, তাদের খুঁজে বের করে জনগণের সামনে নিয়ে এসে উপযুক্ত শাস্তি দিন।’’
কিন্তু সায়ন্তনের অভিযোগ উড়িয়ে দেন কোচবিহার জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক রাহুল রায়। তিনি বলেন, ‘‘বিজেপির পায়ের তলার মাটি সরে গিয়েছে। দলের কর্মীদের আত্মহত্যাকে যে ভাবে খুন বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে, সে ভাবেই নিজেদের মঞ্চে নিজেরাই আগুন ধরিয়ে মানুষের সমবেদনা পাওয়ার চেষ্টা করছে। তৃণমূল কংগ্রেস এই ধরনের রাজনীতি করে না। এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস কোনও ভাবেই যুক্ত নয়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy