ডালখোলাতে ব্যবসায়ীকে গুলি করে ছিনতাইয়ের ঘটনার পরে দু’দিন পেরিয়ে গেলেও অধরা দু্ষ্কৃতীরা।
শনিবারও ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে কাউকেই গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। ঘটনার পর থেকে ডালখোলার সঙ্গে মহকুমার বিভিন্ন এলাকাতে তল্লাশি চালিয়েছে পুলিশ। ডালখোলার সংলগ্ন বিহার পুলিশের সঙ্গে কথা যোগাযোগ করেছে পুলিশের তদন্তকারী দলটি। শুক্রবার রাতেই আহত ওই ব্যবসায়ী মহম্মদ জালাল ডালখোলা ফাঁড়িতে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যে কয়েকজন সন্দেহভাজন দুষ্কৃতীকে জিজ্ঞাসাবাদও শুরু করেছে পুলিশ। তবে ঘটনাটি এই মুহূর্তে মুখ খুলতে চান না ইলামপুরের এসডিপিও বৈভব তিওয়ারি। তিনি বলেন, ‘‘বেশ কিছু তথ্য উঠে এসেছে। তদন্তের স্বার্থে এই মুহূর্তে কিছু বলা ঠিক হবে না। দলটি চিহ্নিত করে খুব শীঘ্রই তাদের গ্রেফতার করা সম্ভব হবে।’’
আক্রান্ত ব্যবসায়ী পেশায় সব্জির পাইকার মহম্মদ জালালের বাড়ি মুর্শিদাবাদের বহরমপুরে। ব্যবসার কারণে প্রায়ই ডালখোলা এলাকা থেকে টাকা নিয়েই মুর্শিদাবাদে ফিরে যান তিনি। এ দিন ডালখোলা এলাকা থেকে তিনলক্ষ তিরিশ হাজার টাকা তুলে বাসস্ট্যান্ড এলাকাতে যাচ্ছিলেন তিনি। রেলগেট সংলগ্ন এলাকাতে দু’টি মোটরবাইকে করে আসা চার জনের ওই দুষ্কৃতী পথ আটকায়। টাকা দিতে অস্বীকার করলে ওই ব্যবসায়ীকে লক্ষ করে কয়েক রাউন্ড গুলিও ছোড়ে তারা। তিনটি গুলি লেগেই লুটিয়ে পড়েন তিনি। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে রায়গঞ্জ জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়। বাসিন্দাদের অভিযোগ, ডালখোলা এলাকার কাছেই বিহার হওয়ায় বিহারের দুষ্কৃতীরা ওই এলাকাতে ছিনতাই ও ডাকাতির মতো ঘটনা ঘটিয়ে পালিয়ে যেতে পারে। এর আগেও প্রকাশ্য দিবালকে এমন ঘটনা ঘটিয়ে বিহারের দিকে পালিয়েছিল দুষ্কৃতীরা বলে তাঁরা জানান। ওই এলাকাতে পুলিশ কেন নিয়মিত তল্লাশি চালায় না তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন বাসিন্দারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy