হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পে এক পুলিশকর্মীর সেল্ফ লোডিং রাইফেল (এসএসলআর) থেকে আচমকা গুলি ছিটকে বেরিয়ে যাওয়ায় আতঙ্ক ছড়াল। বুধবার রায়গঞ্জ জেলা হাসপাতালে এই ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েন চিকিত্সক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীরা।
সকাল ৯টা নাগাদ আচমকা গুলির শব্দ শুনে জরুরি বিভাগে থাকা একাধিক রোগী ও তাঁদের পরিবারের লোকেরা ছুটোছুটি করে বেরিয়ে আসতে থাকেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে। উত্তর দিনাজপুরের পুলিশ সুপার অমিতকুমার ভরত রাঠৌর বলেন, ‘‘কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগে অভিযুক্ত পুলিশকর্মীকে আপাতত হাসপাতালে নজরদারি ও নিরাপত্তার দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত শুরু করা হয়েছে। তদন্তে তাঁর গাফিলতি প্রমাণ হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
পুলিশ সূত্রের খবর, অভিযুক্ত ওই পুলিশকর্মীর নাম লক্ষ্মণ সাহা। কনস্টেবল পদমর্যাদার ওই পুলিশকর্মী হাসপাতালের সেলে বিভিন্ন মামলায় অভিযুক্ত ধৃত চিকিত্সাধীন বন্দিদের নজরদারি ও নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছেন। এ দিন লক্ষ্মণবাবু ডিউটি সেরে ক্যাম্পে পৌঁছে এসএলআরটি বাক্সে রাখার আগে পরীক্ষা করার সময় সেটি থেকে একটি গুলি ছিটকে ওই ঘরের ছাদে গিয়ে লাগে। ওই ঘটনায় হতচকিত হয়ে পড়েন ক্যাম্পে থাকা আরও দুই পুলিশকর্মী। জেলা পুলিশের এক কর্তার দাবি, এসএলআর জাতীয় রাইফেল রাখার আগে সেটি থেকে কার্তুজভর্তি ম্যাগাজিন খুলে রাইফেলটি ঠিকঠাক রয়েছে কি না তা পরীক্ষা করার নিয়ম পুলিশকর্মীদের। কোনওভাবে একটি কার্তুজ ম্যাগাজিন থেকে রাইফেলের ব্যারেলে আটকে গিয়ে থাকতে পারে। রাইফেলটি পরীক্ষা করার সময়ে কোনও কারণে লক্ষ্মণবাবুর ট্রিগারে আঙুল পড়তেই গুলি ছিটকে বেরিয়ে যায়। এ বিষয়ে লক্ষ্মণবাবু কোনও মন্তব্য করতে চাননি।
সকাল নটা নাগাদ হাসপাতালে যথেষ্ট ভিড় ছিল। তারই মধ্যে বিকট আওয়াজে প্রথমে সকলেই হকচকিয়ে যান। গুলি চলেছে ছড়িয়ে পড়তেই হাসপাতাল চত্বরে দৌড়োদৌড়ি শুরু হয়ে যায়। পাতালের সুপার অনুপ হাজরা বলেন, ‘‘আচমকা গুলির বিকট শব্দ হওয়ায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। সঙ্গে সঙ্গেই রায়গঞ্জ থানার পুলিশকে খবর দেওয়া হয়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy