আচমকা ইস্তফা দিলেন গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা সমূহের ভারপ্রাপ্ত নিয়ামক সনাতন দাস। মঙ্গলবার বিকেলে উপাচার্য গোপাল মিশ্রের কাছে ইস্তফাপত্র দেন তিনি। বুধবার জানাজানি হতেই হইচই পড়ে যায় শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মী মহলে। একাংশের অনুমান, মালদহ কলেজের পরীক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে জেলা সফরে এসে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উপাচার্যকে ভর্ৎসনাও করেছিলেন। উচ্চশিক্ষা দফতরের নির্দেশেই পদ থেকে সরেছেন সনাতনবাবু।
গত ২৮ এপ্রিল মালদহ কলেজের প্রথম বর্ষের বাংলা ভাষার পরীক্ষায় মেঝেতে, সাইকেল স্ট্যান্ডে এবং এক বেঞ্চে পাঁচজন করে বসিয়ে পরীক্ষা নেওয়া হয়। কলেজ কর্তৃপক্ষের দাবি ছিল, ১৪০০ থেকে ১৮০০ জনের পরীক্ষা নেওয়ার পরিকাঠামো থাকলেও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জোর করে দ্বিগুণ পরীক্ষার্থীর সিট ফেলেছিল। মুখ্যমন্ত্রীর রোষের মুখে পড়ায় পরবর্তী পরীক্ষাগুলি সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন করতে তৎপর হয় দু’পক্ষই। সমস্যা মিটে যাওয়ার পরে হঠাৎ ইস্তফায় হইচই পড়ে যায়। তবে অনেকেই মনে করছেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের চাপে পড়ে বাধ্য হয়েই ইস্তফা দিয়েছেন সনাতনবাবু। যদিও তিনি বলেন, ‘‘মালদহ কলেজে যে ভাবে পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে তা মেনে নেওয়া যায় না। গাফিলতি যারই থাকুক না কেন আমারও একটা দায়বদ্ধতা থাকে। তাই আমি ইস্তফা দিয়েছি।’’ উপাচার্য গোপাল মিশ্র বলেন, ‘‘উনার ইস্তফা পত্র পেয়েছি। ইসির সদস্যের সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’’এ দিন সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মীদের একাংশ তাঁর ইস্তফা না নেওয়ার জন্য উপাচার্যকে অনুরোধ করেছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy