রেল পথ সারানোর কাজ চলছে। ছবি: মনোজ মুখোপাধ্যায়।
বৃষ্টিতে মাটি আলগা হয়ে রেলপথের ৫০ মিটার অংশ বসে গেল মালদহের কালিয়াচকের জামিরঘাটা স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় বাখরপুরে।
এর জেরে রবিবার ভোর ৪টে থেকে আপ লাইনে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। সকালের দিকে বহু দূরপাল্লার ট্রেনকে বিভিন্ন স্টেশনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকার পর রেল কর্তৃপক্ষ ওই ট্রেনগুলিকে ডাউন লাইন দিয়ে চালিয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বাখরপুর গ্রামের রেলপথের ওই অংশের দু’ধারে জলাশয় রয়েছে। অন্যত্র পাইলিং করা থাকলেও ওই ১০০ মিটার অংশে তা নেই। ফলে বৃষ্টির জল মাটির ভিতর ঢুকে আলগা করে দিয়েছে সহজে। এদিন রেলপথ বসে যাওয়ার বিষয়টি রেল কর্তৃপক্ষের নজরে আসতেই ভোর থেকে আপ লাইনে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। রেললাইন মেরামতের কাজ শুরু হয় কিছু পরে। মালদহ থেকে ছোট পাথর নিয়ে গিয়ে বসে যাওয়া অংশে ফেলা হয়।
এদিকে, জামিরঘাটা স্টেশনে ভোর ৪টে থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত দাঁড়িয়ে থাকে গৌড় মালদহ এক্সপ্রেস। খালতিপুর স্টেশনে বিবেক এক্সপ্রেস চার ঘণ্টা, বহ্মপুত্র মেল পাঁচ ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকে। মালদহ পাটনা এক্সপ্রেস চামাগ্রাম স্টেশনে তিন ঘণ্টা এবং ফরাক্কা এক্সপ্রেস প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টা ধরে দাঁড়িয়ে ছিল। পরে এই ট্রেনগুলিকে এক এক করে ডাউন লাইন দিয়ে মালদহ স্টেশনে ঢোকানো হয়। একই সঙ্গে মালদহ টাউন স্টেশনে গরিব রথ দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকে। বর্ধমান, হাওড়া, নবদ্বীপ এবং সাহেবগঞ্জ—চারটি প্যাসেঞ্জার ট্রেন বাতিল করা হয়। হবিবপুর ব্লকের বাসিন্দা স্বপন মণ্ডল, অসমের বাসিন্দা অরুণ শর্মা গৌড় এক্সপ্রেসে করে মালদহ আসছিলেন। তাঁরা জানান, হঠাৎ করে খালতিপুরের কাছে ট্রেনটি দাঁড়িয়ে যায়। খালতিপুর স্টেশনে তেমন পরিকাঠামো না থাকায় পানীয় জল, খাবার পেতে খুবই সমস্যা হয়েছে।
পূর্ব রেলের ডিভিশন্যাল ম্যানেজার রাজেশ আরগাল বলেন, ‘‘টানা বৃষ্টি হওয়ার ফলে আপ লাইনের কিছুটা অংশ বসে গিয়েছে। আমরা দ্রুত কাজ করার চেষ্টা চালাচ্ছি। প্রথম দিকে কিছু ট্রেন আটকে ছিল। পরে ডাউন লাইন দিয়ে চালানো হয়েছে। কিছু ট্রেন বাতিলও করা হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy