ফাইল চিত্র।
দলের নতুন কোচবিহার জেলা সভাপতি পার্থপ্রতিম রায়ের সংবর্ধনা ঘিরে ফের তৃণমূলের বিরোধ প্রকাশ্যে এল। রবিবার, কোচবিহার নাটাবাড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের হরিণচওড়ার মাঠে পার্থকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। কোচবিহার ১ নম্বর ব্লক কমিটির তরফে ওই সংবর্ধনা অনুষ্ঠান হয়। নাটাবাড়ি বিধানসভার বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। তিনি অভিযোগ করেন, ওই সভা নিয়ে তাঁকে কিছুই জানানো হয়নি। তিনি ওই সভা নিয়ে রাজ্য নেতৃত্বকে লিখিত অভিযোগ জানাবেন বলে জানিয়েছেন। এ দিন ‘আইপ্যাকে’র একটি সভায় অবশ্য পার্থ-রবীন্দ্রনাথকে এক মঞ্চে দেখা যায়।
রবীন্দ্রনাথ বলেন, “আমার বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে ব্লক কমিটির নামে একটি অনুষ্ঠান হয়েছে। সেখানে বর্তমানে কোনও ব্লক কমিটি নেই। আমি ওই এলাকার বিধায়ক হওয়ার পরেও, আমাকে ওই অনুষ্ঠান নিয়ে কিছু জানানো হয়নি।”
পার্থপ্রতিম জানান, ওই ব্লকে তৃণমূলের এখন কোনও কমিটি নেই। এলাকার তৃণমূলের নেতা-কর্মীরদের কয়েকজন মিলে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। সেখানে মন্ত্রী-বিধায়ক থেকে সবাইকে জানানো হয়েছে বলে তিনি জানতেন। তিনি বলেন, “মন্ত্রী ও বিধায়ক আমাদের বর্ষিয়ান নেতা। তাঁর কথার গুরুত্ব আছে। আমাকে যে কার্ড দেওয়া হয়েছিল সেখানে সবার নাম ছিল। আমি জিজ্ঞেস করেছিলাম তা নিয়ে। ওই বিষয় নিয়ে সবার সঙ্গেই কথা বলব।”
ওই সভাতেই সংবর্ধনা দেওয়ার তালিকায় নাম ছিল কোচবিহার জেলা তৃণমূল যুব সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিকের। তিনি অবশ্য সেখানে উপস্থিত ছিলেন না। তিনি বলেন, “এ দিন আমার কোচবিহার উত্তরে একাধিক কর্মসূচি ছিল। তাই সময় করে উঠতে না পারার জন্য ওই অনুষ্ঠানে যেতে পারিনি।”
এ দিনের ওই অনুষ্ঠানের ডাক দিয়েছিলেন কোচবিহার ১ নম্বর ব্লকের প্রাক্তন সভাপতি খোকন মিয়াঁ, আজিজুল হকরা। সেখানে সমস্ত গ্রাম পঞ্চায়েত থেকেই কর্মী, সমর্থকদের নিয়ে যাওয়া হয়। একসময় খোকন-আজিজুল উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রীর অনুগামী হিসেবেই পরিচিত ছিলেন। বর্তমানে তাঁরা পার্থপ্রতিমের ঘনিষ্ঠ বলে দল সূত্রে জানা গিয়েছে। খোকন বলেন, “উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রীকেও আমরা আমন্ত্রণ জানিয়েছি। তাঁর নাম আমন্ত্রণ পত্রের এক নম্বরে ছিল। তার পরেও কোনও বিষয় থাকলে আলোচনা করব।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy