Advertisement
১১ ডিসেম্বর ২০২৪
Jalpaiguri

‘কী হেতু, চালু হচ্ছে না সেতু’

বাম আমলে সেতু নির্মাণ শুরু হয়েছিল। রাজ্যে পরিবর্তনের পরে, তিন তিন বার তৃণমূল সরকার গঠিত হল কিন্তু জলপাইগুড়ি শহরের করলা নদীর উপরে দেড়শ মিটার লম্বা সেতুটি উদ্বোধনের অপেক্ষাতেই রয়ে গেল।

— প্রতীকী চিত্র।

অনির্বাণ রায়
জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ ০৮:৪০
Share: Save:

চোদ্দো বছর কেটে গেল, সেতু দিয়ে যান চলাচল শুরু হল না।

বাম আমলে সেতু নির্মাণ শুরু হয়েছিল। রাজ্যে পরিবর্তনের পরে, তিন তিন বার তৃণমূল সরকার গঠিত হল কিন্তু জলপাইগুড়ি শহরের করলা নদীর উপরে দেড়শ মিটার লম্বা সেতুটি উদ্বোধনের অপেক্ষাতেই রয়ে গেল।

জলপাইগুড়ি পুরসভার প্রস্তাবে নব্বইয়ের দশকে শিলিগুড়ি জলপাইগুড়ি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (এসজেডিএ) জলপাইগুড়ি শহরে করলা নদীর উপরে সপ্তম করলা সেতু নির্মাণ শুরু করে। শহরের সমাজপাড়ার রবীন্দ্রভবনের সামনে থেকে শুরু হয়ে, হাকিমপাড়ার সংযোগকারী সেতুটি নির্মাণের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল শহরের যানজট কমাতে এবং জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালে দ্রুত পৌঁছতে। সদর হাসপাতাল এখন জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজের মা ও শিশু বিভাগ। সেতুটি এখনও চলাচলহীন।

নদীর উপরে দুই স্তম্ভে দাঁড়িয়ে রয়েছে সেতু। দুদিকের মূল রাস্তার সঙ্গে সেতুর সংযোগকারী পথ (অ্যাপ্রোচ রোড) নেই। সেতুর দুদিকে কিছু পরিবার রয়েছে। সেই পরিবারগুলিকে সরিয়ে জমি অধিগ্রহণ করার প্রক্রিয়া গত চোদ্দো বছর ধরে চলছে। এসজেডিএ-এর দাবি একাধিক বার আলোচনা হয়েছে কিন্তু জট খোলেনি। জমিদাতা পরিবারগুলির দাবি, তাদের ক্ষতিপূরণের সঙ্গে পুর্নবাসনও দিতে হবে। এসজেডিএর দাবি, পুর্নবাসনের ব্যবস্থা করবে জলপাইগুড়ি পুরসভা। পুর কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে সম্মতও হয়েছিলেন। পুরসভার দাবি, পুর্নবাসনে তারা রাজি। কিন্তু ক্ষতিপূরণ নিয়ে আলোচনা থমকে রয়েছে।

সেতু তৈরি হয়ে চলাচলের অনুপযুক্ত, অথচ, জলপাইগুড়ি শহরে যানজট বেড়েই চলেছে। ডিবিসি রোডের যানজট সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলতেই থাকে। দিনবাজার সেতুতেও যানজট যেন প্রতিদিনের রুটিন। সমাজপাড়া এবং হাকিমপাড়ার মধ্যে সংযোগকারী সেতুতে যান চলাচল শুরু হলে, যানজট কমবে বলে দাবি। জলপাইগুড়ি পুরসভার পুরপ্রধান পাপিয়া পাল বলেন, “শহরে তুমুল যানজট সমস্যা সমাধানে সমাজপাড়া সেতু দিয়ে দ্রুত চলাচল শুরু করা উচিত।”

জলপাইগুড়ি পুরসভার বিরোধী কংগ্রেসের পুরপ্রতিনিধি অম্লান মুন্সির কটাক্ষ, “পুরসভা এবং এসজেডিএ—দুই দফতরের অকর্মন্যতার নির্দশন হল সমাজপাড়ার করলা সেতু।” যদিও এসজেডিএর এক কর্তার দাবি, “এত বছরে বার বার ক্ষতিপূরণ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তার পরে কখনও চেয়ারম্যান বদলেছে, কখনও আধিকারিক। সে কারণে গতি থমকে গিয়েছে।”

সূত্রের দাবি, এই পরিস্থিতিতে পুরসভার সিদ্ধান্ত, সেতুর দুদিকে মাটি ফেলে টোটো, মোটরবাইক, সাইকেল চলাচল শুরু করা। তৃণমূলের এক পুরপ্রতিনিধির কথায়, “চোদ্দো বছরে অগ্রগতি বলতে, শুধু কংক্রিটের
সেতুর দু’দিকে মাটির রাস্তা তৈরি করা।”

অন্য বিষয়গুলি:

Jalpaiguri Bridge
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy