কর্মসূচি: মেখলিগঞ্জ পুর এলকায় জনসংযোগ । নিজস্ব চিত্র
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় উত্তরবঙ্গ সফরে এসে গ্রাম ঘুরে কাজ করতে প্রশাসনের কর্তাদের নির্দেশ দেন। তার জেরে গ্রাম ও শহরে শুরু হয় সংযোগ কর্মসূচি। মঙ্গলবার কোচবিহার জেলার বিভিন্ন গ্রামগুলির পাশাপাশি কয়েকটি পুরসভা এলাকাতেও ওই কর্মসূচি নেওয়া হয়। কোথাও আবেদনকারীর হাতে তুলে দেওয়া হয় জন্ম শংসাপত্র। কোথাও আবার কৃষক বন্ধু প্রকল্পে আগ্রহীদের নাম নথিভুক্ত করা হয়। সব এলাকাতেই বাসিন্দাদের উপস্থিতি ছিল নজরকাড়া। বিভিন্ন দফতরের কর্তারাও ওই কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছিলেন। কোচবিহারের জেলাশাসক পবন কাদিয়ন বলেন, “বিভিন্ন ব্লক ও পুরসভা এলাকা মিলিয়ে জেলার মোট ৩০টি এলাকায় এদিন সংযোগ কর্মসূচি নেওয়া হয় ।”
প্রশাসন সূত্রে খবর, কোচবিহার পুরসভা এলাকার ৩ নম্বর ওয়ার্ডে সংযোগ কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন পুরসভা ও প্রশাসনের কর্তারা। কলাবাগান এলাকায় আয়োজিত ওই কর্মসূচি থেকে পরিবারের নতুন সদস্যের জন্ম শংসাপত্র তুলে দেওয়া হয়। মেয়েদের আইনি পরিষেবা নিয়েও আলোচনা হয়। রাস্তা সংস্কারের আর্জিও জানান কেউ। জেলা আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষের সম্পাদক অরিন্দম চট্টোপাধ্যায়, কোচবিহার সদরের মহকুমা শাসক সঞ্জয় পাল, কোচবিহার পুরপ্রধান ভূষণ সিংহ উপস্থিত ছিলেন সেখানে।
পাশাপাশি দিনহাটা পুরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডেও ওই কর্মসূচি হয়েছে। সেখানেও রাস্তা, নিকাশি, বার্ধক্যভাতা নিয়ে নানা সমস্যার কথা জানানো হয়। বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া দিনহাটা ২ ব্লকের শেউটি ও শুকারুরকুঠিতেও কর্মসূচি হয়েছে। জব কার্ড-সহ একাধিক সমস্যার কথা তুলে ধরেন বাসিন্দারা সেখানকার বাসিন্দারাও। শিক্ষক সমস্যা, শ্রমিক সমস্যা— সবই উঠে আসে। প্রশাসনের তরফে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
নভেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকে বাসিন্দাদের সমস্যা জানতে ও সরকারি প্রকল্পের সুবিধা তুলে ধরতে সংযোগ কর্মসূচি শুরু হয় কোচবিহারে। প্রথম দিন ১১টি গ্রাম পঞ্চায়েতের ২২টি গ্রামে যান প্রশাসনের কর্তা, প্রতিনিধিরা। পরে পুরসভা এলাকাতেও কর্মসূচি নেওয়া হয়। কোথাও মাদুর পেতে, কোথাও চেয়ার টেবিল পেতে বসেছিলেন প্রশাসনের কর্তারা।
অন্যদিকে মেখলিগঞ্জ পুর এলাকায়ও শুরু হয় সংযোগ কর্মসূচি। পুরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডে আয়োজিত ওই কর্মসূচিতে পানীয় জল থেকে পথবাতি পর্যন্ত একাধিক বিষয় নিয়ে সরব হন বাসিন্দারা। বাসিন্দা কুমার গুহ বলেন, ‘‘পদ্মপুকুরের ঘাট বাঁধাইয়ে নিম্নমানের কাজ হয়েছে। প্রবীণ বাসিন্দাদের আড্ডা দেওয়ার মতো কোনও জায়গা নেই। নিকাশি নালা ও কালভার্ট তৈরির ক্ষেত্রেও চূড়ান্ত অনিয়ম হয়েছে। প্রশাসন এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করুক।’’ আবর্জনা পরিষ্কারের দাবি জানান ভাইয়া গুহ। উপস্থিত ছিলেন পুর আধিকারিক নীলোৎপল চক্রবর্তী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy