প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। —ফাইল চিত্র।
বাগডোগরা বিমানবন্দরের আধুনিকীকরণ এবং সম্প্রসারণের প্রথম পর্যায় এবং দেশের আরও ছ’টি বিমানবন্দরের আধুনিকীকরণের কাজের সূচনা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। রবিবার উত্তরপ্রদেশের বারাণসী থেকে ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে বাগডোগরার জন্য এই সূচনা-অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল শিলিগুড়িতে। অনুষ্ঠানে ভিডিয়ো কনফারেন্সে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য শোনানো হয়। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে উন্নয়নের কথা বলতে গিয়ে বার বার উঠে এসেছে কেন্দ্রের পূর্ববর্তী কংগ্রেস সরকার ও পরিবারতন্ত্র নিয়ে কটাক্ষ।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘এ বারের সরকারের ১২৫ দিনে ১৫ হাজার কোটি টাকার প্রকল্পের কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। (এনডিএ-র) আগে তো সরকারের দিন চলে যেত দুর্নীতি নিয়ে আলোচনা করেই। এখন সেটা উন্নয়ন নিয়ে হচ্ছে।’’ পাশাপাশি তিনি জানান, তৃতীয়বার দেশের মানুষ এই সরকারকে আশীর্বাদ করেছে। হরিয়ানাতেও তাই লাগাতার বিজেপির সরকার হয়েছে। জম্মু এবং কাশ্মীরে বিজেপি রেকর্ড সংখ্যক ভোট পেয়েছে। এর পরে, পরিবারতন্ত্র নিয়ে কটাক্ষ করতে গিয়ে তাঁর কথা, উল্টোদিকে পরিবারবাদীরা দেশের যুব সমাজকে বিভ্রান্ত করেছে। এর পরেই প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা, ‘‘দেশের এক লক্ষ তরুণ প্রজন্মকে আমি রাজনীতিতে নামাব। আর এঁদের পরিবারের সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক থাকবে না। দুর্নীতি এবং পরিবারবাদকে মিটিয়ে ফেলার অভিযান এটা।’’
মোদীর এই বক্তব্যের ভিডিয়ো চলাকালীন মঞ্চে বিজেপির উত্তরবঙ্গের জনপ্রতিনিধিদের পাশাপাশি বসে শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব। রাজ্যের প্রতিনিধি হয়ে অনুষ্ঠানে গিয়ে সারাক্ষণই মঞ্চে বসে থাকতে দেখা গেল তাঁকে। তবে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য নিয়ে তিনি কিছু বলতে চাননি। তবে জানিয়েছেন, ২০১৪ সাল থেকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রচেষ্টায় বাগডোগরার উন্নয়ন কেন্দ্রীয় সঙ্গে যৌথ ভাবে এগোচ্ছে। প্রথমে নাইট ল্যান্ডিং-এর জন্য জমি এবং এ বার সম্প্রসারণের জমি রাজ্য সরকারই মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে দ্রুত ব্যবস্থা করে এয়ারপোর্ট অথরিটি অফ ইন্ডিয়াকে (এএআই) দিয়েছে।
এ দিনের অনুষ্ঠানে মঞ্চের পিছনে স্ক্রিনে মোদীর সঙ্গে এক কোণে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবিও রাখা ছিল। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর বলেন, ‘‘বাগডোগরার প্রয়োজনীতা, গুরুত্ব, ভৌগোলিক অবস্থানের কথা ভেবেই কেন্দ্রীয় সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। রাজ্যের অন্য প্রান্তেও প্রয়োজনে রাজ্য সরকার এ ভাবেই বিমানবন্দরের জন্য় জমি দেবে বলে আমরা আশাবাদী।’’
এ দিন বিকেলে কাওয়াখালির মাঠে এএআইয়ের আয়োজনে এই অনুষ্ঠানের শুরুতে ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি শোনা গিয়েছে। বিজেপির সাংসদ, বিধায়ক থেকে তৃণমূলের মেয়রের ভাষণের আগে গোটা অনুষ্ঠানস্থল দফায় দফায় শোনা গিয়েছে সেই ধ্বনি।
অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর ছাড়াও বিজেপির সাংসদ রাজু বিস্তা, জয়ন্ত রায়, বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ ও আনন্দ বর্মণেরা ছিলেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy