মহানন্দার জলে প্লাবিত চাঁচলের গালিমপুর উপস্বাস্থ্যকেন্দ্র ও অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র। নিজস্ব চিত্র
মালদহে ফুলহারের জল সামান্য কমলেও ফুঁসছে মহানন্দা। বুধবার মহনন্দার জলস্তর আরও বেড়ে যাওয়ায় প্লাবিত হয়েছে চাঁচলের দুটি ব্লক, রতুয়া ২ ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকা।
প্রশাসনিক ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গালিমপুর এলাকায় উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্র, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের সামনে কোমরজল জমেছে। ফলে বন্ধ হয়ে গিয়েছে উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি। ঘরবাড়িতে জল ঢুকেছে একাধিক এলাকায়। দুর্গতদের অনেকেই মহানন্দার নদীবাঁধে আশ্রয় নিয়েছেন। প্লাবিত হয়েছে বিঘার পর বিঘা আমন ধান, আনাজের খেতও। চাঁচলের কানাইপুর ও রতুয়া নজরপুরে রিং বাঁধের ফাটল চুঁইয়ে জল ঢুকতে শুরু করায় উদ্বেগ ছড়িছেছে। দুটি এলাকাতেই রিং বাঁধ সংস্কারের কাজ শুরু করা হয়েছে। বুধবার বিকেলে চাঁচল ১ ব্লকের প্লাবিত এলাকা পরিদর্শনে যান বিডিও সমীরণ ভট্টাচার্য। প্রশাসনিক সূত্রে খবর, এ দিন বেশ কিছু দুর্গতকে ত্রাণের ত্রিপল দেওয়া হয়েছে। তবে এলাকাবাসীর একাংশের অভিযোগ, এখনও খাদ্যসামগ্রী মেলেনি। ফুলহারের জলস্তর কিছুটা কমলেও হরিশ্চন্দ্রপুর ও রতুয়ার প্লাবিত এলাকায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি।
জেলা সেচ দফতরের মহানন্দা এমব্যাঙ্কমেন্টের নির্বাহী বাস্তুকার বাদরুদ্দিন শেখ বলেন, মহানন্দার জল আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। আমরা পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছি।
সেচ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন দুপুরে মহানন্দার জলস্তর ছিল ২১.৪৮ মিটার। যা বিপদসীমা থেকে ৪৮ সেন্টিমিটার বেশি। আর ফুলহারের জলস্তর ছিল ২৮.০৫ মিটার। যা বিপদসীমা থেকে ৬২ সেন্টিমিটার বেশি।
সেচ দফতর ও স্থানীয় সূত্রে খবর, এ দিন ফুলহারের জলস্তর চরম বিপদসীমার নীচে নামলেও তা এখনও বিপদসীমার উপর দিয়েই বইছে। ফলে হরিশ্চন্দ্রপুর ২ ও রতুয়া ১ ব্লকের অন্তত ২৫টি এলাকার বাসিন্দা জলবন্দি হয়ে রয়েছেন। মহানন্দার জল বেড়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন চাঁচল ১ ও ২, রতুয়া ২ ব্লকের নদীসংলগ্ন বিস্তীর্ণ এলাকার বাসিন্দারা। চাঁচল ১ ব্লকের মথুরাপুর, ভবানীপুর, গালিমপুর, কানাইপুর ও একাধিক এলাকার অনেক ঘরবড়িতেও জল ঢুকে গিয়েছে।
এ দিন বন্যাকবলিত এলাকা পরিদর্শনের পরে চাঁচল ১ ব্লক কংগ্রেস সভাপতি আনজারুল হক বলেন, যা পরিস্থিতি তাতে দ্রুত ত্রাণের খাদ্যসামগ্রী দেওয়া জরুরি।
চাঁচল ১ ব্লকের বিডিও বলেন, পঞ্চায়েতের কাছে বন্যাদুর্গতদের রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। এ দিন কিছু ত্রিপল দেওয়া হয়েছে। খাদ্যসামগ্রীও দেওয়া হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy