ফাইল চিত্র।
যত দ্রুত সম্ভব ভোট পরিচালনার জন্য ‘সেল’ তৈরির কাজ সারতে হবে, নির্দেশ কমিশনের। ভোট পরিচালনার পরিভাষায় ‘সেল’ বলতে বোঝায় এক একটি বিভাগ। যেমন আদর্শ আচরণবিধি সেল, ভোটকর্মী সেল, ইভিএম সেল ইত্যাদি। কোন সেলের দায়িত্বে কোন আধিকারিক থাকবেন তা আগেই নির্দিষ্ট করে রেখেছিল জলপাইগুড়ি জেলা প্রশাসন। বৃহস্পতিবার জরুরি বৈঠক ডেকে জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা নির্দেশ দেন, কোন সেলে কোন আধিকারিক-কর্মীরা থাকবেন সেটাও বাছাই করে সেলের পূর্ণাঙ্গ পরিকাঠামো তৈরির কাজ সেরে রাখতে হবে। গত বুধবারই উপ নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে বিভিন্ন জেলার জেলাশাসক এবং পুলিশ সুপারদের বৈঠক হয়েছে। সেই বৈঠকের পরের দিনই জেলার আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক করেছেন জেলাশাসক। এ দিনের বৈঠকে থাকা এক আধিকারিকের কথায়, “নির্বাচন নিয়ে প্রস্তুতি তুঙ্গে পৌঁছেছে। চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশের পরে যে কোনও দিন ভোট ঘোষণা হতে পারে সে কথা মাথায় রেখেই প্রস্তুতি চলছে।”
জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা বলেন, “এবারে করোনা আবহে ভোট হবে। তাই বাড়তি সাবধনতা এবং সতকর্তা থাকবে। ভোট আধি্কারিক বা কর্মীদের বলা হয়েছে কমিশনের নির্দেশিকা যেন তাঁরা খুঁটিয়ে পড়েন।” এ দিন বৈঠখের পরে আধিকারিকদের একটি করে সিডিও দিয়েছে প্রশাসন। সেই সিডিতে কোন সেল-এর আপাতত কী কাজ সেগুলি উল্লেখ আছে।
আজ শুক্রবার চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশিত হতে চলেছে। এই তালিকা ধরেই বিধানসভা ভোট হবে। এ বার বুথ, গণনাকেন্দ্র ও ভোটকর্মীর সংখ্যা বাড়বে। বিভিন্ন দফতর থেকে কর্মীদের তথ্য নিয়ে ভোটকর্মীর তালিকা শুরু করেছিল প্রশাসন। তা এখনও ৯৭ শতাংশ হয়ে আটকে রয়েছে। এ দিন জেলাশাসক নির্দেশ দিয়েছেন, দ্রুত সেই কাজ সম্পূর্ণ করতে হবে।
প্রশাসনের এক আধিকারিকের কথায়, “আগামী সপ্তাহের মধ্যেই কমিশনকে সব কাজ শেষের রিপোর্ট দিতে হবে।” অর্থাৎ আগামী সপ্তাহের মধ্যেই ভোট প্রস্তুতির সব কাজ সারা হয়ে যাবে জলপাইগুড়িতে। তারপরে থাকবে শুধু ভোট ঘোষণার অপেক্ষা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy