ঘাটের জটে আবাস।
বর্ষার পর থেকে শিলিগুড়ি মহকুমার বেশিরভাগ নদীঘাটের লিজ়ের মেয়াদ শেষ হয়েছিল। এখনও ঘাটগুলি বন্ধ থাকায় শহর এবং গ্রামে নির্মাণ কাজের বালি-পাথরের অভাব তৈরি হয়েছে বলে অভিযোগ। কেন্দ্রীয় আবাস যোজনায় বরাদ্দ ঘরের কাজ আগামী তিন মাসের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র। এখনও সেই বাবদ টাকা বরাদ্দ হয়নি। প্রশাসন সূত্রে খবর, চলতি সপ্তাহে বরাদ্দ হতে পারে আবাসের প্রথম কিস্তির টাকা। তার আগে বালি-পাথরের এই সমস্যায় কী ভাবে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আবাস প্রকল্পের কাজ হবে, প্রশ্ন তুলছেন উপভোক্তারাই।
মহকুমা ভূমি রাজস্ব দফতর সূত্রে খবর, ঘাটগুলির লিজ়ের মেয়াদ শেষের পরে নতুন করে আবেদন করে লিজ় নবীকরণ করতে হয়। আবেদন জমা পড়েছে। কিন্তু বেশিরভাগ ঘাটের ক্ষেত্রে পরিবেশগত ত্রুটি ধরা পড়েছে। সঠিক নথির অভাবও রয়েছে অনেক ক্ষেত্রে। সে জন্য প্রশাসনের তরফে আবেদনকারীদের সঙ্গে আলোচনা করে সমস্যার সমাধান করতে বলা হয়েছে বলে দাবি। দার্জিলিঙের জেলাশাসক এস পুন্নমবলম চার-পাঁচটি নদীঘাটের লিজ়ের নবীকরণ হতে পারে বলে জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘শুধু আবাস প্রকল্প নয়, নির্মাণ কাজের সমস্যার সমাধানে ঘাটগুলি খোলার প্রক্রিয়া চলছে। উপভোক্তাদের যাতে বালি-পাথরের সমস্যা না হয় তাও দেখা হচ্ছে।’’
আবাস প্রকল্পের কাজ নির্দিষ্ট সময়ে শেষ করতে জেলা, ব্লক এবং পঞ্চায়েতের অফিসারদের পদক্ষেপ করতে বলা হয়েছে।উপভোক্তারা ঘর তৈরির সামগ্রীর জোগানের সমস্যায় যাতে না পড়েন তারও ব্যবস্থা করার নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন। মহকুমায় চলতি অর্থবছরে ৭,৭০০ উপভোক্তার ঘর বরাদ্দ হয়েছে। কেন্দ্রীয় পোর্টালে ৫,৮০০ উপভোক্তার নাম নথিভুক্ত হয়েছে। সেই উপভোক্তাদের একাংশ পঞ্চায়েত অফিসারদের কাছে গিয়ে বালি-পাথরের সমস্যার কথা জানাচ্ছেন বলে দাবি। জেলা প্রশাসনের কাছেও সেই রিপোর্ট গিয়েছে। মহকুমায় বর্তমানে দু’টি লিজ়ের ঘাট রয়েছে। এক সঙ্গে এত উপভোক্তার বালি-পাথরের জোগান দেওয়া তাদের পক্ষে সম্ভব নয়। ফলে ঘাটগুলির লিজ় নবীকরণ জরুরি হয়ে পড়ছে।
মহকুমার আটটির বেশি নদী থেকে বালি-পাথর তোলা হয়। অভিযোগ, প্রত্যেকবার এই নদীর ঘাটগুলি থেকে অবৈধ খননের অভিযোগ ওঠে। লিজ় না থাকার পরেও এখনও কয়েকটি অবৈধ ঘাট থেকে রাতের অন্ধকারে খননের অভিযোগ উঠছে। প্রশাসন নতুন করেতাই লিজ় নবীকরণে সতর্ক হচ্ছে বলে দাবি। অভিযোগ, তাতে দাম বাড়ছে বালি-পাথরের। ফলে নির্মাণ কাজ অনেকটাই কমেছেবলে দাবি শ্রমিকদের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy