স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ির লোকজনের সঙ্গে রিল তৈরি করে সমাজমাধ্যমে পোস্ট করতেন উত্তরপ্রদেশের বরেলীর সিমরন। সেই ‘রিল-সম্পর্ক’ দেখে লোকে বাহবাও দিতেন। কিন্তু তার সঙ্গে যে ‘রিয়েল’-এর (বাস্তব) এতটা ফারাক, কারও চোখে ধরা পড়েনি। স্বামীর নামে থানায় মামলা ঠুকেছিলেন সিমরন। সেই থানাতেই কর্মরত তাঁর দাদা। মামলা রুজু করার কয়েক ঘণ্টা পরেই গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন স্বামী রাজ আর্য। পুলিশ জানিয়েছে, এখনও রাজের পরিবারের তরফে কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি। অভিযোগ পেলে উপযুক্ত পদক্ষেপ করা হবে।
আরও পড়ুন:
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সিমরন এবং রাজ পরস্পরকে ভালবেসে বিয়ে করেছিলেন। ২০২৪ সালের এপ্রিলে তাঁদের বিয়ে হয়। মাত্র ৪৫ দিন আগে কন্যাসন্তানের জন্ম দেন তিনি। তার পরেই স্বামীর সঙ্গে বিবাদ চরমে ওঠে বলে অভিযোগ। মৃতের পরিবার জানিয়েছে, দিন কয়েক আগে রাজের বাড়ি ছেড়ে চলে যান সিমরন। বুধবার সকালে বরেলী থানায় স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন তরুণী। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা নাগাদ সমাজমাধ্যমে একটি পোস্ট দিয়ে লেখেন, ‘‘সকালে সাড়ে ১০টার মধ্যে জেলে যাবেন তিনি।’’ তার কয়েক ঘণ্টা পরে সিমরন লেখেন, ‘‘এ বার জেলে যাও!’’
রাজের মা জানিয়েছেন, এর পরেই ভেঙে পড়েছিলেন ছেলে। তাঁকে বলেছিলেন, ‘‘মা, আমি চিরঘুমে যাব।’’ তখনই সন্দেহ হয় মায়ের। কিছু ক্ষণ পরে ঘরে রাজের ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান তিনি। থানায় খবর দেওয়া হয়। পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। সার্কল অফিসার অজয় কুমার জানিয়েছেন, পরিবারের তরফে অভিযোগ দায়ের হলে তাঁরা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করবেন।