সেবকের পথে ভেঙে রয়েছে পাহাড়র গার্ডওয়াল। নিজস্ব চিত্র
জাতীয় সড়কে সেবকের পথে গার্ডওয়াল ফেটে গিয়ে বিপজ্জনক ভাবে রাস্তার দিকে হেলে পড়েছে পাহাড়। আবার পাহাড়ি তিস্তার উপরে করোনেশন সেতুর গোড়া দূর্বল হয়ে পড়ায় ১০ টনের বেশি যান চলাচল বন্ধের নির্দেশ রয়েছে। তার উপরে বিকল্প গজলডোবার পথ খন্দে ভরা। সেখানেও তিস্তা ব্যারেজ জীর্ণ, তাই ভারী যান রুখতে হাইট বার লাগানো হয়েছে। সব মিলিয়ে ডুয়ার্স থেকে শিলিগুড়ি যাতায়াত ধীরে ধীরে সঙ্কটের মুখে পড়ছে। এই পরিস্থিতিতে দুই পথে যান চলাচল বিঘ্নিত হলে ডুয়ার্সের অর্থনীতি সঙ্কটে পড়বে বলেই অশঙ্কা করছেন অনেকে।
তাই অবিলম্বে ডুয়ার্সের সঙ্গে শিলিগুড়ির বিকল্প ওদলাবাড়ি গজলডোবা হয়ে যাওয়া সড়কের হাল ফেরানোর দাবি উঠেছে। সেবকে করোনেশন সেতুর বিকল্প দ্বিতীয় সেতু গড়ে তোলার দাবির সপক্ষে আন্দোলন জোরালো হচ্ছে। মালবাজারের মহকুমাশাসক শান্তনু বালা জানান, বিষয়টি উচ্চ পর্যায়ে জানানো হয়েছে।
ডুয়ার্স ফোরাম সংগঠনের উদ্যোগে বিকল্প সেবক সেতুর দাবিতে নানা মহলে দাবি জানানো ও আন্দোলনের রূপরেখা চূড়ান্ত হয়েছে বলে খবর। সংগঠনের সম্পাদক চন্দন রায় বলেন, “উত্তর পূর্ব ভারতের জন্যে আন্দোলন গড়ে তুলেছি। একটি সেতু এলাকার অর্থনীতি বদলে দিতে পারে।”
এ দিকে, গজলডোবার পথ পুজোর আগে সংস্কারের দাবি তোলেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা। করোনা আবহে পর্যটকেরা আসেননি। এ বার এমন খন্দপথ পেলে ভুল বার্তা যাবে বলেই দাবি তাঁদের। চালসার ছোট গাড়ি মালিক গোপাল সরকার বলেন, “শিলিগুড়ির উপর নির্ভর করে ব্যবসা করি, এনজেপি বা বাগডোগরা বিমানবন্দর থেকে পর্যটকদের আনতে যাই। তাই ব্যবসা শুরুর আগেই পথের দিকে নজর দেওয়া উচিত।”
শুধু পর্যটনই নয়, মালবাজার থেকে রোগীদের মাঝেমধ্যেই শিলিগুড়িতে স্থানান্তরিত করা হয়। তাই অ্যাম্বুলেন্স চালকেরাও রাস্তার পাকাপাকি সমাধান চান। মালবাজারের অ্যাম্বুল্যান্স চালক বিকাশ পাল বলেন, “সেবকে ধস থাকলে গজলডোবার পথ ব্যবহার হয়। কিন্তু রাস্তার যা অবস্থা, একঘণ্টার পথ পেরোতে দু’ঘণ্টা সময় লাগে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy