বিজেপি’র বাইক র্যালির অনুমতি দেয়নি পুলিশ। ফলে সেই র্যালি আটকাতে রাস্তাতেও দিনভর পাহারায় ছিল পুলিশ। কিন্তু সেই পুলিশকেই বোকা বানিয়ে রবিবার বিকল্প রাস্তায় দাপিয়ে বেড়াল বাইক বাহিনী। তবে সারাদিন চরকি পাক খেয়ে শেষে পুলিশ বিজেপির মিছিলের একাংশ আটকায়। গ্রেফতার করা হয় দু’শোরও বেশি বিজেপি কর্মীকে।
পুলিশ সুপার সুমিত কুমার বলেন, ‘‘উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা চলছে। এর মধ্যে বাইক র্যালির কোনও অনুমতি দেওয়া হয়নি। তাই পুলিশ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছে।’’ কিন্তু কার্যক্ষেত্রে বাইক বাহিনীকে সেইভাবে এ দিন নিয়ন্ত্রণই করতে পারেনি পুলিশ। যে পথে এ দিন পূর্ণ বাহিনী নিয়ে উত্তর দিনাজপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এবং রায়গঞ্জ থানার আইসি দিনভর দাঁড়িয়ে থাকলেন, সেই পথ মাড়ালই না বাইক বাহিনী। তার পরিবর্তে অন্য রাস্তায় দিনভর ঘুরে বেড়াল তারা। পুলিশের সঙ্গে এই লুকোচুরি খেলা চলল সারাদিন ধরে। মিছিল শেষের মুখে শহরের বাইরে শহুরাই মোড় হয়ে র্যালি সুভাষগঞ্জে ঢুকছে খবর পেয়ে পুলিশ বাহিনী গিয়ে তাদের একাংশকে আটকায়। বাইক র্যালির কর্মীদের ২২৮ জনকে গ্রেফতার করে তখনই ব্যক্তিগত জামিনে ছাড়া হয়। আটক করা হয় ৮৫টি বাইক। তবে তার আগেই বাইক মিছিলের একাংশ ভাগ হয়ে আগে বেরিয়ে যায়। তাদের অবশ্য আটকাতে পারেনি পুলিশ।
বিজেপি’র জেলা নেতৃত্ব জানান, পুলিশ তাঁদের র্যালি আটকানোর নানা পরিকল্পনা করেছিল। তাই তাঁদেরও পথ বদলে র্যালি করতে হয়েছে। বিজেপির জেলা সভাপতি নির্মল দাম বলেন, ‘‘পুলিশ এবং তৃণমূল নানা ভাবে পরিকল্পনা করেছিল আমাদের বিজয় সঙ্কল্প র্যালি আটকাতে। রায়গঞ্জে তা তারা পারেনি। পথ বদল করে র্যালি হয়েছে। শেষের দিকে কিছু বাইককে আটকে কর্মী-সমর্থকদের গ্রেফতার করেছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy