সীমান্ত পেরিয়ে শিলিগুড়িতে ঢুকছে বোমা তৈরির উপকরণ?
দু’দিন আগে উদ্ধার হওয়া বোমা পরীক্ষা করে এবং ধৃতদের জেরা করে এমনই সন্দেহ পুলিশের। গত শনিবার সকালেই চারটি বোমা উদ্ধার হয়েছে মাটিগাড়া এলাকা থেকে। তারপরেই শুরু হয়েছে বোমার উৎস সন্ধানে পুলিশি তদন্ত। শনিবার বোমা ও পিস্তল পাচারের অভিযোগে ধৃত অজয়কে শিলিগুড়ি আদালতে পেশ করা হলে তার জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে। তবে শিলিগুড়ি মহকুমার কোনও এলাকায় বোমা তৈরির ঘাঁটি রয়েছে বলে পুলিশের অনুমান। যদিও, বোমা তৈরির অন্যতম প্রধান উপকরণ পটাশিয়াম পারম্যাঙ্গানেট এক সঙ্গে বেশি পরিমাণে সহজলভ্য নয়। দামও পড়ে প্রচুর। সে কারণেই পুলিশের দাবি, সীমান্ত পেরিয়েই এই উপকরণ শিলিগুড়িতে ঢুকছে।
শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার মনোজ বর্মা বলেন, ‘‘বিভিন্ন জায়গাতে নজর রাখা হচ্ছে। দিনে ও রাতে কড়া তল্লাশি চলছে সমস্ত এলাকাতে।’’ ধৃতকে জেরা করেও বেশ কিছু সূত্র মিলেছে বলে পুলিশ সূত্রের খবর। গোটা মহকুমা এলাকাতে নজর থাকলেও পুলিশ কমিশনারেটের মাটিগাড়া এলাকাতেই নজর রয়েছে। এর আগে বছর খানেক আগে মাটিগাড়া থানারই পালপাড়া এলাকায় বোমাবাজির অভিযোগ উঠেছিল। শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেট এলাকা বাদ দিলে মহকুমার বেশ কিছু এলাকা দার্জিলিং পুলিশের অধীনে পড়ে। মাটিগাড়ায় বোমা পাওয়া যাওয়ায় সতর্ক দার্জিলিং জেলা পুলিশও। পুলিশ সুপার অমিত জাভালগি বলেন, ‘‘আমরাও গোয়েন্দা দফতরকে বলেছি বিষয়টি খতিয়ে দেখতে। এখনও নির্দিষ্ট কোনও সূত্র পাওয়া না গেলেও আমরা নিয়মিত তল্লাশি অভিযান চালানো হচ্ছে।’’
সীমান্ত পার করে বোমা নিয়ে আসা ঝুঁকিপূর্ণ, সে কারণে দুষ্কৃতীরা শুধু বোমা তৈরির উপকরণ শিলিগুড়ি নিয়ে আসছে বলে পুলিশ জেনেছে। পটাশিয়াম পারম্যাঙ্গানেটের সঙ্গে ফসফেট, পেরেক ও লোহার টুকরোকে স্প্লিন্টার বানিয়ে বোমা বাঁধা হয়েছিল বলে উদ্ধার হওয়া বোমা পরীক্ষা করে পুলিশ জেনেছে। তবে কোথায় এই বোমা তৈরি হচ্ছে, তা নিয়ে পুলিশ এখনও অন্ধকারে। যদিও, পুলিশের দাবি বেশ কিছু সূত্রও মিলেছে। পুলিশের একাংশের দাবি, মাটিগাড়ার কিছু এলাকার দাগীদের উপরেও বলে জানা গিয়েছে। শুধু বোমা নয় নির্বাচনের মুখে শিলিগুড়িতে পিস্তল ঢোকার অভিযোগও চাপ বাড়িয়েছে পুলিশের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy