জলদাপাড়ার হলং বনবাংলো। —ফাইল চিত্র।
বন দফতরের রিপোর্ট জমা পড়েছিল আগেই। হলং বনবাংলোয় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এ বার পুলিশ ও দমকলের রিপোর্টও রাজ্যে জমা পড়ল। রাজ্যের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত বন প্রতিমন্ত্রী বিরবাহা হাঁসদা সোমবার জানান, এ দিনই নবান্নে ওই দুই রিপোর্ট জমা পড়েছে। তবে রিপোর্টে কী বলা রয়েছে, সে ব্যাপারে তিনি কোনও মন্তব্য করতে চাননি।
গত সপ্তাহের মঙ্গলবার রাতে বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডে হলং বনবাংলো পুড়ে যাওয়ার পরে বন দফতরের শীর্ষ কর্তারা রাজ্যে একটি প্রাথমিক রিপোর্ট জমা দেন। যাতে ‘শর্ট সার্কিট’-এর কথা বলা হয়। তবে সে রিপোর্ট চূড়ান্ত নয় বলে আগেই জানিয়েছিলেন বন প্রতিমন্ত্রী। এ দিন বন প্রতিমন্ত্রী বলেন, “পুলিশ ও দমকল বিভাগের রিপোর্ট দেখে, সেখানে কী রয়েছে বলতে পারব।” তবে রাজ্যে পুলিশের এক কর্তা জানান, পুলিশ সাধারণত আদালতেই চার্জশিট জমা দেয়। তাই নবান্নে হয়তো দমকল ও ফরেন্সিক বিভাগের রিপোর্ট জমা পড়ার কথা মন্ত্রী বোঝাতে চেয়েছেন।
জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের সদর দফতর বা হেড কোয়ার্টার কেন কোচবিহারে থাকবে তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে এ বার। পরিবেশকর্মী অরূপ গুহ বলেন, “বিষয়টা আলাদা জেলার নয়। বিষয়টি দূরত্বের। একটা জাতীয় উদ্যানে যেখানে গন্ডার-সহ এত বন্য প্রাণীদের বাস, তার হেড অফিস এত দূরে থাকবে কেন? কেন এত দূরে ডিএফও বসবেন?” বনকর্তারা জানিয়েছেন, এক সময় জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যান কোচবিহার বিভাগের অধীনে ছিল। সেই সময়ে আরও কিছু জঙ্গল এলাকাও সেই বিভাগের অধীনে ছিল। তখন থেকেই এর সদর দফতর কোচবিহারে। সূত্রের খবর, এর আগে একাধিক বার জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের হেড অফিস আলিপুরদুয়ারে স্থানান্তরিত করার প্রস্তাব রাজ্যে গিয়েছিল। রাজ্যের প্রাক্তন প্রধান মুখ্য বনপাল (বন্যপ্রাণ) রবিকান্ত সিন্হা বলেন, “এই দাবি অযৌক্তিক নয়। এটা হলে, জলদাপাড়াকে ঘিরে বন দফতরের প্রশাসনিক কাজকর্মেরও অনেক সুবিধা হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy