সিভিল ডিফেন্সের প্রস্তুতি ইংরেজবাজারের মহানন্দার মিশন ঘাটে। নিজস্ব চিত্র
মাল নদীতে বিসর্জন কাণ্ডের পরে ‘সতর্ক’ মালদহ ও দুই দিনাজপুরের পুলিশ, প্রশাসন। গৌড়বঙ্গের তিন জেলাতে কখনও হড়পা বান না হলেও বিসর্জন-ঘাটে একাধিক বিধি নিষেধ জারি করা হয়েছে বলে জানান পুলিশ, প্রশাসনের কর্তারা। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই তিন জেলার গুরুত্বপূর্ণ বিসর্জন-ঘাটের প্রস্তুতি খতিয়ে দেখেন তাঁরা। তাঁদের দাবি, প্রতিমা বিসর্জনের জন্য অস্থায়ী ‘ঘাট সহায়ক’ নিয়োগ করা হয়েছে তিন জেলাতেই।
এ বার এখনও ফুলে ফেঁপে রয়েছে জেলার নদীগুলি। বুধবার রাতেই জলপাইগুড়ির মাল নদীতে প্রতিমা বিসর্জনের সময় হড়পা বানে বহু মানুষের মৃত্যু হয়। তার পর থেকে বিসর্জন নিয়ে পুরসভা, পুলিশের সঙ্গে বৈঠক করে নদী ঘাট পরিদর্শন করেন মালদহের জেলাশাসক নীতিন সিংহানিয়া, মহাকুমাশাসক সুরেশ চন্দ্র রানো। ইংরেজবাজার শহরের মিশনঘাটে পরিদর্শনে যান তাঁরা। প্রশাসনের দাবি, মিশনঘাটে এখন পর্যন্ত ৮৭টি প্রতিমা বিসর্জন হয়েছে। এখনও তিন শতাধিক প্রতিমা বিসর্জন বাকি রয়েছে। বিসর্জনের সময় উদ্যোক্তাদের নদীতে নামার ক্ষেত্রে বিধি নিষেধ জারি করা হয়েছে। নদীর পাড়ে প্রতিমা নিয়ে আসবেন উদ্যোক্তারা। এর পরে পুরসভার ঘাট সহায়করা নদীতে প্রতিমা বিসর্জন করবেন। ঘাট সহায়কদের পাশাপাশি বিপর্যয় মোকাবিলা বিহানীর সদস্যরাও ঘাটে ঘাটে মোতায়েন থাকবেন বলে জানান মালদহের জেলাশাসক। তিনি বলেন, “স্পিডবোট, লাইফ জ্যাকেট ঘাটে মজুত রাখা হচ্ছে। বিসর্জনে পুলিশও মোতায়েন থাকবে।”
এ দিকে রায়গঞ্জ শহরে কুলিক নদীর খরমুজা ও বন্দর ঘাটে সব থেকে বেশি প্রতিমা বিসর্জন হয়। এ বার দু’টি ঘাটে ৫৮ জন অস্থায়ী ঘাট সহায়ক নিয়োগ করা হয়েছে। ঘাট সহায়করাই প্রতিমা বিসর্জন করবেন। এ ছাড়া স্পিডবোট ও ডুবুরি রয়েছে। এখন পর্যন্ত ১৩৬টি প্রতিমা বিসর্জন হয়েছে। পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারপার্সন সন্দীপ বিশ্বাস বলেন, “নদীতে দুর্ঘটনা এড়াতে প্রতি বছরই বিসর্জন প্রক্রিয়া শেষ করতে পুরসভার তরফে ঘাট সহায়ক নিয়োগ করা হয়।” ডালখোলার বুড়ি মহানন্দা নদীর ঘাটে দুর্ঘটনা এড়াতে পুলিশ ও বিপর্যয় মোবাকিলা দফতরের কর্মীদের নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। দর্শনার্থীদের নদীতে নামার ক্ষেত্রেও নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে প্রশাসন।
দক্ষিণ দিনাজপুরেও স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করা হয়েছে। পুলিশ, প্রশাসনের তরফেও ঘাটে নজরদদারি চালানো হবে বলে জানিয়েছেন জেলাশাসক বিজিন কৃষ্ণা। তিনি বলেন, ‘‘বিপর্যয় মোকাবিলা দলের তরফে ঘাটগুলিতে অসামরিক প্রতিরক্ষা স্বেচ্ছাসেবকদের নিয়োগ করা হয়েছে।” ডেপুটি পুলিশ সুপার সোমনাথ ঝা বলেন, “আমাদের জেলায় হড়পা বানের সম্ভাবনা নেই। কিন্তু তাও নিয়ে আমরা সতর্ক রয়েছি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy