প্রতীকী ছবি।
দিনমজুর পরিবারের সন্তান। বেঙ্গালুরুতে তৃতীয় বর্ষে পড়তেন ফার্মাসি নিয়ে। তাঁকে ঘিরেই আবর্তিত হত পরিবারের স্বপ্ন। সেই মেধাবী ছাত্রের ঝুলন্ত দেহ শনিবার উদ্ধার হল শোওয়ার ঘর থেকে। বেঙ্গালুরু যাওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগে। তবে কেন তিনি আত্মহত্যা করলেন, তা নিয়ে ধন্দে পরিবারের লোকেরা। তাঁর অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য ছ়ড়িয়েছে ওই এলাকায়।
আত্মঘাতী ওই ছাত্রের নাম মুজাফ্ফর হোসেন (২০)। তাঁর বাড়ি মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর থানার সুলতাননগর গ্রাম পঞ্চায়েতের পীরগঞ্জ গ্রামে। শনিবারই হাটেবাজারে এক্সপ্রেসে করে কলকাতা যাওয়ার কথা ছিল তাঁর। সেখান থেকে বিমানে বেঙ্গালুরু। কিন্তু সকালে পরিবারের লোকেরা মুজাফ্ফরকে সকালে ডাকতে গিয়ে দেখেন ঘরের মধ্যে তাঁর ঝুলন্ত দেহ। এর পর খবর যায় হরিশ্চন্দ্রপুর থানায়। পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালে।
মুজাফ্ফর হঠাৎ কেন এ রকম ঘটনা ঘটা্লেন, তা ভেবে পাচ্ছেন না তাঁর পরিবারের লোকেরা। মৃত ছাত্রের বাবা আব্দুল জব্বার জানিয়েছেন, তাঁর ছেলে ফার্মাসির তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন। পড়াশোনায় তিনি খুব মেধাবী ছিলেন বলেও জানিয়েছেন আব্দুল। তিনি বলেছেন, ‘‘আমার ছেলে পড়াশোনায় নিয়েই থাকত। রাতে পড়াশোনা করত। শনিবার বেঙ্গালুরু ফিরে যাওয়ার কথা ছিল। ব্যাগও গোছানোও হয়ে গিয়েছিল। সকালে ঘুম থেকে ডাকতে গিয়ে দেখি ও ঝুলছে। কেন এ রকম করল, বুঝতে পারছি না। অর্থনৈতিক সমস্যা কিছু ছিল না। ওর সঙ্গে কারও শত্রুতাও নেই। ও নিজেকে নিয়েই থাকত। স্কুলের বন্ধুরা ছাড়া বেশি বন্ধুবান্ধবও ছিল না।’’ একই কথা মুজাফ্ফরের দাদা গোলাম কাদির বলেছেন, ‘‘ও পড়াশোনায় খুব ভাল ছিল। কেন এ রকম করল, বুঝতে পারছি না।’’ তাঁর ভাইয়ের সঙ্গে কারও প্রেমের সম্পর্ক এবং শত্রুতা ছিল না বলেই জানিয়েছেন কাদির।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy