ভোগান্তি: নোট বাতিল হয়েছে নভেম্বরে। এখনও তার জের চলছে। কোচবিহারে এটিএমের সামনে টাকার আশায় লাইনে বাসিন্দারা। সোমবার। ছবি: হিমাংশুরঞ্জন দেব
নতুন মাসেও এটিএমে নোট ভোগান্তি চলছেই কোচবিহারে। গ্রাহকদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভেরও সৃষ্টি হয়েছে।
ক্ষুব্ধ গ্রাহকদের অভিযোগ, ফেব্রুয়ারির শেষ সপ্তাহ থেকে নতুন করে এটিএম পরিষেবা নিয়ে ভোগান্তি শুরু হয়। মার্চের প্রথম সপ্তাহ জুড়ে ওই সমস্যা জারি রয়েছে। সোমবারেও কোচবিহার শহরের বেশিরভাগ এটিএমে টাকা পাননি অনেকে। কোচবিহার সাগরদিঘি পাড়ের একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের এটিএমের সামনে টাকা তুলতে চড়া রোদে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়াতে হয় গ্রাহকদের। কেন্দ্রীয় সরকার পাঁচশো ও এক হাজার নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত ঘোষণার পর যেমন ভোগান্তি মুখে পড়তে হয়েছিল, ফের সেই ছবিটাই যেন উঠে আসছে। বিষয়টি নিয়ে ব্যাঙ্ককর্তাদের হেলদোলও দেখা যাচ্ছে না। কোচবিহারের লিড ব্যাঙ্ক ম্যানেজার সঞ্জয়কুমার অবশ্য বলেন, “দ্রুত সব কিছু স্বাভাবিক হয়ে যাবে।”
কিন্তু ফের এমন সমস্যা কেন? ব্যাঙ্ক কর্তাদের দাবি, ফেব্রুয়ারির শেষে ব্যাঙ্ক থেকে টাকা তোলার ঊর্ধ্বসীমা ২৪ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫০ হাজার টাকা করা হয়েছে। তার উপরে মাস পয়লা থেকে বেতন তোলার হিড়িক পড়েছে। ফলে টাকা তোলার চাহিদা একধাক্কায় অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। কিন্তু সেই তুলনায় ব্যাঙ্কের কোষাগারে যথেষ্ট টাকা জমা পড়ছে না। তাতেই সমস্যা বেড়েছে। কোচবিহারের একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের কর্তা জানিয়েছেন, জেলা জুড়ে দেড় শতাধিক এটিএম রয়েছে। দৈনিক ওই সব এটিএমে প্রায় ১ কোটি ৯০ লক্ষ নগদ টাকার চাহিদা রয়েছে। ফলে চাহিদা মতো বরাদ্দ দেওয়া যাচ্ছে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy