জলের অপেক্ষায়। নিজস্ব চিত্র।
এ বলে আমায় দেখ, ও বলে আমায়। প্রচণ্ড গরমে পানীয় জলের অভাব বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সেচের জলও অমিল হওয়ায় নাজেহাল দক্ষিণ দিনাজপুরের বাসিন্দারা।
দোসর হয়েছে পানীয় জলের লাইনের গোলমাল। যার ফলে তপনের বালাপুরে পিএইচইর পানীয় জল সরবরাহ ব্যাহত হয়ে পড়ায় ওই এলাকায় জলের তীব্র আকাল চলছে।
বাসিন্দাদের অভিযোগ, লাইন মেরামতির ব্যবস্থা না হওয়ায় তীব্র জল সংকটে পড়েছেন তাঁরা। বালাপুরের বাসিন্দা দিলীপ মণ্ডল, ভবেন বর্মনরা বলেন, ‘‘লো ভোল্টেজের ফলে সাব মার্সিবল পাম্প চালিয়েও সুরাহা হচ্ছে না।’’ জলের দাবিতে সর্বত্র ক্ষোভের সৃষ্টি হচ্ছে বলে জানাচ্ছেন তাঁরা। আরএসপির তপন জোনাল সম্পাদক বিমল তরফদার অভিযোগ করেন, চারিদিকে জলের জন্য হাহাকার হলেও প্রশাসনের কোনও হেলদোল নেই। কৃষি দফতর জানিয়েছে, গত বছর এসময়ে বৃষ্টি হলেও এবারে বৃষ্টির দেখা নেই। গরম হাওয়ার সঙ্গে দাবদাহ বাড়তে থাকায় জেলার তপন, গঙ্গারামপুর, হরিরামপুর, বংশীহারি, কুমারগঞ্জ, কুশমন্ডি সহ বিস্তীর্ণ এলাকায় মাটির নীচে জলস্তর নেমে গিয়ে পানীয় জলের তীব্র সংকট দেখা দিচ্ছে। ঘোলা জল খেতেই বাধ্য হচ্ছেন বাসিন্দারা। যার ফলে ছড়াচ্ছে পেটের অসুখ। জেলা মাঝিয়ান কৃষি গবেষণা কেন্দ্র সূত্রের খবর, জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ঘোরাফেরা করছে। জেলা কৃষি আধিকারিক উৎপল মণ্ডল বলেন, আরও কিছুদিন এমন পরিস্থিতি এমন চলতে থাকলে সমস্যায় পড়বেন চাষিরা। সব্জি চাষও মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। তপনের বালাপুর, পাহাড়পুর, সন্ধ্যাপুকুর, ডাং মালঞ্চা, হরিবংশীপুর, লস্কর, নিমগাছী, দৌড়গঞ্জেও নলকূপ থেকে জল উঠছে না। তীব্র জল সঙ্কটে পড়েছেন বাসিন্দারা।
জেলাশাসক তাপস চৌধুরী বলেন, ‘‘সঙ্কট মোকাবিলায় ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্ট বিডিও এবং পিএইচই দফতরের সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’’ পঞ্চায়েত সমিতি থেকে বিভিন্ন এলাকায় ট্যাঙ্কের মাধ্যমে পানীয় জল সরবরাহের উদ্যোগ হচ্ছে বলেও দাবি করেছেন তিনি।
এ বছর জেলায় প্রায় ২০ হাজার হেক্টর জমিতে পাট, প্রায় ৪০ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো ধান এবং ২২০০ হেক্টার জমিতে ভুট্টা চাষ হচ্ছে। গ্রীষ্মকালীন সব্জি চাষ হয়েছে প্রায় ১২ হাজার হেক্টার জমিতে। বালুরঘাটের ডাঙা অঞ্চলে জলের অভাবে পাটের জমি শুকিয়ে গিয়েছে। বোরো চাষে একই অবস্থা কুমারগঞ্জের মোহনা, ডাঙ্গা, বটুনাতেও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy