অবশেষে দক্ষিণ দিনাজপুরে পার্শ্বশিক্ষক কোটায় চাকরি পাওয়া ৫৭ জন নবনিযুক্ত প্রাথমিক শিক্ষককে বরখাস্তের আদেশনামা তৈরি হলো।
শুক্রবার রাতে বালুরঘাটে দফতরে বসে ওই চিঠি তৈরির কাজ সম্পন্ন করেন জেলা স্কুল কর্তৃপক্ষ। শনিবার জেলা প্রাথমিক স্কুল পরিদর্শক (ডিআই) সুনীতি সাঁপুই বলেন, ‘‘ওই ৫৭ জন শিক্ষকের নিযোগ বাতিল হয়েছে। আগামী মঙ্গলবার সংশ্লিষ্ট অবর বিদ্যালয় পরিদর্শকের (এসআই) মাধ্যমে ওই শিক্ষকদের কাছে বরখাস্তের চিঠি
পৌঁছে যাবে।’’
সংসদ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই জেলায় প্রাথমিক স্কুলে পার্শ্বশিক্ষকের কোনও পদ ছিল না। ফলে পার্শ্বশিক্ষকের কোটায় শিক্ষক নিয়োগের কোনও অবকাশও ছিলনা। তাই এই ঘটনার পরে প্রশ্ন উঠেছে তা সত্ত্বেও কী করে এতজনকে ওই কোটায় শিক্ষক নিয়োগ করা হল? বিরোধীরা এই প্রশ্ন তুলেই আসরে নেমেছেন।
জেলা স্কুল সংসদ সূত্রের খবর, এ জেলায় পার্শ্বশিক্ষকের পদ রয়েছে কি না জানতে চাওয়া হলে ওই পদ জেলায় নেই বলে তারা রাজ্য শিক্ষা দফতরে চিঠি দিয়ে জানিয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু ফেব্রুয়ারিতে উপরতলা থেকে পার্শ্বশিক্ষক কোটায় ৬১ জন প্রার্থীকে নিয়োগের তালিকা পাঠিয়ে দেওয়া হয় বলে বিরোধীদের অভিযোগ। ডিআই সেই নির্দেশ পালন করেন বলেও তাদের তরফে দাবি করা হয়েছে।
বিরোধীরা আরও অভিযোগ তুলেছেন, নেতাদের কোটা পূরণের জন্য গোপনে পার্শ্বশিক্ষকের পদ বেছে নেওয়া হয়। গত ১৩ ফেব্রুয়ারি ওই কোটায় নিয়োগপত্র পেয়ে শিক্ষকরা স্কুলে শিক্ষকতার কাজও শুরু করেন।
কিন্তু পার্শ্বশিক্ষকের ওই তালিকা ফাঁস হয়ে গেলে অনিয়ম সামনে আসায় বিড়ম্বনায় পড়ে যান রাজ্য নেতৃত্ব। রাজ্য শিক্ষা দফতর থেকে বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়।
বিজেপির জেলা সভাপতি শুভেন্দু সরকার বলেন, ‘‘জেলায় তফসিলি জাতি উপজাতি ওবিসি এক্সসার্ভিসম্যান ক্যাটেগরিতে শূন্যপদ কত? কতজন সংরক্ষিত আসনে প্রাথমিকের চাকরি পেলেন তার তালিকা প্রকাশ করে টেটে নিয়োগে স্বচ্ছ্বতার প্রমাণ দিক রাজ্য সরকার। তাহলে তো কোনও সন্দেহ থাকেনা।’’
তৃণমূল জেলা সভাপতি বিপ্লব মিত্র অবশ্য বলেন, ‘‘স্বচ্ছ্বতার সঙ্গে টেটে নিয়োগ হয়েছে। অনিয়মের বিরুদ্ধে যে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে ওই ঘটনাই তার প্রমাণ।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy