Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪
Calcutta High Court

‘সিদ্ধান্ত নিন ছ’সপ্তাহে’! কালিম্পং, কার্শিয়াং, মিরিকে পুরভোটের মামলায় হাই কোর্টের নির্দেশ

২০১৭ সালের ১৪ মে শেষ বার ওই তিন পুরসভায় নির্বাচন হয়েছিল। ২০২২ সালের এপ্রিল মাসে সেগুলির মেয়াদ শেষ হয়। এখন ওই পুরসভাগুলির কার্যভার প্রশাসকেরা সামলাচ্ছেন।

প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৩:১০
Share: Save:

পাহাড়ের তিন পুরসভায় নির্বাচন নিয়ে রাজ্যকে সিদ্ধান্ত নিতে বলল কলকাতা হাই কোর্ট। পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের প্রধান সচিবকে ছ’সপ্তাহের মধ্যে সিদ্ধান্ত নিতে নির্দেশ দিয়েছে প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ।

এই মামলায় হাই কোর্টের পর্যবেক্ষণ— সুপ্রিম কোর্টের রায় এবং পশ্চিমবঙ্গ পুরসভা আইন মোতাবেক নির্বাচন ঘোষণা করা উচিত রাজ্য সরকারের। কালিম্পং, কার্শিয়াং ও মিরিক চিহ্নিত এলাকায় পুরসভায় নির্বাচন চেয়ে হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন আর্জেন লামা। তারই ভিত্তিতে রাজ্যকে এই নির্দেশ দিয়েছে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ।

আবেদনকারী পক্ষের বক্তব্য, ২০১৭ সালের ১৪ মে শেষ বার ওই তিন পুরসভায় নির্বাচন হয়েছিল। ২০২২ সালের এপ্রিল মাসে সেগুলির মেয়াদ শেষ হয়। তার পর থেকে ওই পুরসভাগুলির কার্যভার রাজ্যের নিযুক্ত প্রশাসকেরা সামলাচ্ছেন। কোনও পুরসভায় দু’বছরের বেশি সময় ধরে এ ভাবে প্রশাসক বসিয়ে কাজ করানো যায় না বলে মামলায় দাবি করেছিলেন আবেদনকারী আর্জেন। তাঁর মতে, রাজ্যের ওই সিদ্ধান্ত পশ্চিমবঙ্গ পুরসভা আইনের পরিপন্থী। তাই রাজ্যকে ভোট করানোর নির্দেশ দিক আদালত।

মামলাকারী বক্তব্য, ওই সব পুরসভায় নির্বাচিত কাউন্সিলর না থাকায় সাধারণ মানুষ সমস্যায় পড়ছেন। প্রশাসকের কাছে তাঁরা অভাব-অভিযোগ জানাতে পারছেন না। এমনকি নির্বাচিত সদস্য না থাকার জন্য অনেক উন্নয়নের কাজও থমকে গিয়েছে সেখানে। আর্জেন জানান, সাম্প্রতিক অতীতে পাহাড়ের ওই এলাকায় জিটিএ, বিধানসভা এবং লোকসভার ভোট হয়েছে। এমনকি, ২০২২ সালে মার্চ মাসে হয়েছিল দার্জিলিং পুরসভার ভোটও। এই মামলায় বৃহস্পতিবার হাই কোর্টের পর্যবেক্ষণ, দীর্ঘ দিন প্রশাসক বসিয়ে কাজ করানো যায় না। লোকসভা এবং বিধানসভার মতো পুরসভার নির্বাচনও সময়মতো হওয়া দরকার।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE