(বাঁ দিকে) বিনেশ ফোগাট এবং কবিতা দালাল (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।
মুখোমুখি দুই মহিলা কুস্তিগির। তবে আখড়ার লড়াইয়ে নয়, ভোটের ময়দানে। হরিয়ানার আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে জুলানা কেন্দ্রে এ বার দেখা যাবে কংগ্রেসের বিনেশ ফোগাটের সঙ্গে আম আদমি পার্টি (আপ) কবিতা দালালের দ্বৈরথ।
২০২৩ সালে যৌন নিগ্রহে অভিযুক্ত বিজেপি নেতা ও ভারতীয় কুস্তি সংস্থার অপসারিত প্রধান ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমেছিলেন বিনেশ-সহ অনেক মহিলা কুস্তিগির। সে সময় ওই আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়েছিলেন কবিতা। ১৯৮৬ সালে হরিয়ানার মালভিতে জন্ম কবিতার। কুস্তির রিং তাঁকে কবিতা দেবী বা হার্ড কেডি (কবিতা দেবীকেই সংক্ষেপে কেডি বলা হয়) নামে চেনে। একদা কেন্দ্রীয় বাহিনী সশস্ত্র সীমা বলের কর্মী কবিতা ডব্লিউডব্লিউই-র রিংয়ে এসেছিলেন ‘দ্য গ্রেট খালি’র অনুপ্রেরণায়।
২০১৭-য় ডব্লিউডব্লিউই-র রিংয়ে নেমেই প্রচারের আলোয় চলে এসেছিলেন কবিতা। বস্তুত, তাঁর সেই সাফল্যের পরেই ডব্লিউডব্লিউই কর্তৃপক্ষ ভারতে ‘বাজার ধরতে’ সক্রিয় হয়েছিলেন। অন্য দিকে, প্রতিযোগিতামূলক কুস্তির ময়দানে বিনেশের পরিচিতি তার আগে থেকেই। চলতি বছর প্যারিস অলিম্পিক্সে ৫০ কেজি বিভাগেও নেমেছিলেন তিনি। ফাইনালেও উঠেছিলেন। কিন্তু ফাইনালে নামার দিন তাঁর ওজন করা হয়। সেখানে দেখা যায়, ওজন ১০০ গ্রাম বেশি। সেই কারণে বাতিল করে দেওয়া হয় তাঁকে। কোনও পদকই পাননি তিনি।
সর্বোচ্চ আদালতেও গিয়েছিলেন বিনেশ। কিন্তু তাতেও লাভ হয়নি। অনেকে অভিযোগ করেছিলেন, তাঁর বাদ যাওয়ার নেপথ্যে ছিল কেন্দ্রীয় সরকারের একাংশের চক্রান্ত। চলতি মাসেই রাহুল গান্ধীর সঙ্গে দেখা করার পরে রেলের চাকরিতে ইস্তফা দিয়ে কংগ্রেসে যোগদান করেন বিনেশ। তাঁর সঙ্গেই ‘হাত’ ধরেন আর এক কুস্তিগির বজরং পুনিয়াও। তবে পুনিয়াকে এ বার ভোটে প্রার্থী করেনি কংগ্রেস। জিন্দ জেলার জুলানা আসনে বিনেশ এবং কবিতার পাশাপাশি ভোটের লড়াইয়ে রয়েছেন বিজেপির যুবনেতা যোগেশ বৈরাগীও। তবে ভোট-পণ্ডিতদের একাংশ বলছেন, মূল লড়াই হবে দুই মহিলা কুস্তিগিরের মধ্যেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy