Advertisement
২৪ ডিসেম্বর ২০২৪
PM Viswakarma Scheme

‘পিএম বিশ্বকর্মা’ প্রকল্প নিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে রাজনীতির অভিযোগ

শিলিগুড়ির অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক, দার্জিলিঙের সাংসদ রাজু বিস্তা এবং জেলার নেতারা ছিলেন। বিজেপি সূত্রের খবর, ৭০০ জনের মতো কর্মী গিয়েছিলেন।

—প্রতীকী চিত্র।

—প্রতীকী চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০৮:২৮
Share: Save:

তখনও প্রকল্পের সূচনাই করেননি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বিলাসবহুল ভবনের সামনে বিজেপির কর্মীদের দীর্ঘ লাইন। তাঁদের কাছ থেকে জমা নেওয়া হচ্ছিল আধার কার্ডের প্রতিলিপি এবং মোবাইল নম্বর। কর্মীদের দাবি, ‘পিএম বিশ্বকর্মা’ প্রকল্পের সুবিধা দেওয়ার কথা জানানো হয়েছিল। আর তাতেই দার্জিলিঙের পাহাড় থেকে সমতলের বিভিন্ন জেলার বিজেপির কর্মীদের ভিড় বলে দাবি। রবিবার শিলিগুড়ি শহরের দুই মাইল এলাকায় ‘পিএম বিশ্বকর্মা’ প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান দেখানো হয়েছে। এমন প্রতিশ্রুতি দিয়ে সেখানে দলীয় কর্মীদের কাছে নির্দিষ্ট ফর্মে নামের তালিকা এবং বিভিন্ন তথ্যাদিক প্রতিলিপি নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। দলেরই একাংশের দাবি, বেশ
কিছু দিন থেকে বিজেপির কর্মসূচিতে সে ভাবে ভিড় হচ্ছিল না। তাই হয়তো কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সুবিধা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। বিরোধীদের অভিযোগ, প্রকল্প শুরু হতে না হতেই রাজনীতি শুরু করেছে বিজেপি।

এ দিন শিলিগুড়ির অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক, দার্জিলিঙের সাংসদ রাজু বিস্তা এবং জেলার নেতারা ছিলেন। বিজেপি সূত্রের খবর, ৭০০ জনের মতো কর্মী গিয়েছিলেন। নিশীথ তাঁর বক্তব্যে বলেছেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনে পিএম বিশ্বকর্মা যোজনা উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ। দেশের ১৮টি পেশার মানুষ প্রকল্পের সুবিধা পেয়ে উপকৃত হবেন।’’ এ প্রসঙ্গে শিলিগুড়ি সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক রাজু সাহা বলেন, "প্রতিশ্রুতির কোনও বিষয় নেই। দেশের মানুষের জন্য প্রধানমন্ত্রীর নতুন প্রকল্পের উৎসাহই ভিড়ের কারণ। নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে প্রকল্পের সুবিধা যাতে সকলে পান এরপর শিবির করা হবে।
এদিন যাদের কাগজ জমা নেওয়া হয়েছিল তাঁদের এক সপ্তাহের প্রশিক্ষণ দিয়ে প্রকল্পের সুবিধা পাওয়ার উপযুক্ত করা হবে।"

তৃণমূলের অভিযোগ, এর আগেও ‘প্রধানমন্ত্রী মুদ্রা যোজনা’ চালু হয়েছিল। রাজ্যের কতজন পেয়েছেন বিজেপি নেতাদেরই কেউ জানেন না। বিজেপির মিথ্যে আশ্বাসে মানুষ থাকছে না। গ্রাম পঞ্চায়েত এবং ধূপগুড়ির ফলই তার প্রমাণ। শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেবের বক্তব্য,
‘‘লোকসভার আগে ভাঁওতাবাজি। দলীয় কর্মীদের ডেকে সরকারি অনুষ্ঠান এবং মিথ্যে প্রতিশ্রুতি ছাড়া কিছুই নয়। রাজ্যের সরকার সারা বছর বাংলার মানুষের
সঙ্গে রয়েছে।’’

বিজেপি সূত্রের খবর, এ দিনের অনুষ্ঠানে মাটিগাড়া নকশালবাড়ির বিধায়ক আনন্দময় বর্মণ এবং ফাঁসিদেওয়ার বিধায়ক দুর্গা মুর্মুর নাম আমন্ত্রণপত্রে ছাপানো হয়নি। সেজন্য তাঁরা উপস্থিত ছিলেন না। তা নিয়ে ক্ষুব্ধ দলের একাংশ।

অন্য বিষয়গুলি:

BJP Siliguri
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy