পুর নির্বাচনে আসন সংরক্ষণের আগের খসড়া তালিকা বাতিল করে আলিপুরদুয়ার জেলা প্রশাসনের নতুন তালিকা প্রকাশ করার ঘটনায় চক্রান্তের গন্ধ পাচ্ছেন বিরোধীরা। ফলে পুরআইনে আসন সংরক্ষণের নিয়মাবলি খতিয়ে দেখতে এর মধ্যেই আইনজীবীদের সঙ্গে পরামর্শ শুরু করেছেন সিপিএম নেতারা। নিয়ম অনুযায়ী এই তালিকা প্রকাশ করা না হয়ে থাকলে, আইনি পদক্ষেপেরও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তাঁরা৷
গত ২০ অগস্ট আসন সংরক্ষণের খসড়া তালিকা প্রকাশ করেছিল আলিপুরদুয়ার জেলা প্রশাসন। সেই তালিকা অনুযায়ী ১২ ও ১৫ নম্বর ওয়ার্ড তপশিলি জাতি, ৪ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ড তপশিলি জাতির মহিলা প্রার্থীদের জন্য সংরক্ষণ করা হয়৷ অন্য দিকে, ২, ৬, ১০, ১৪ ও ১৮ নম্বর ওয়ার্ড সাধারণ মহিলা প্রার্থীদের জন্য সংরক্ষিত হয়৷ যার ফলে, নিজের ওয়ার্ডে ভোটে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে সংরক্ষণের কোপে পড়েন বিদায়ী চেয়ারম্যান আশিস দত্ত ও তৃণমূলের শহর ব্লক সভাপতি তথা প্রাক্তন চেয়ারম্যান দীপ্ত চট্টোপাধ্যায়৷
কিন্তু আগের সেই তালিকা বাতিল করে মঙ্গলবার নতুন একটি খসড়া তালিকা প্রকাশ করেছে জেলা প্রশাসন৷ সেই তালিকা অনুযায়ী, আগের তালিকায় থাকা মহিলা প্রার্থীদের জন্য সংরক্ষিত কোনও ওয়ার্ড পরিবর্তন হয়নি৷ কিন্তু তপশিলি জাতি ও তপশিলি জাতির মহিলা প্রার্থীদের জন্য ৪, ৯ ও ১২ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষণ তুলে দেওয়া হয়েছে৷ আগের তালিকা অনুযায়ী তপশিলি জাতির প্রার্থীর ১৫ নম্বর ওয়ার্ড থাকছে৷ নতুন তালিকায় তার সঙ্গে ১৩ নম্বর ওয়ার্ড যোগ হয়েছে৷
নতুন তালিকায় তপশিলি জাতির মহিলা প্রার্থীদের জন্য ৩ ও ৮ নম্বর ওয়ার্ড সংরক্ষণ করা হয়েছে৷ যার ফলে, এই তালিকা চূড়ান্ত হলে ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বিদায়ী সিপিএম কাউন্সিলর তথা প্রাক্তন চেয়ারম্যান অনিন্দ্য ভৌমিকের আর নিজের ওয়ার্ড থেকে দাঁড়ানো হবে না। অনিন্দ্যবাবু পুরসভার বিদায়ী বিরোধী দলনেতাও৷ তাঁর অভিযোগ, ‘‘একই আধিকারিক ২০অগস্ট একবার তালিকা প্রকাশ করলেন, আবার সেই আধিকারিক মঙ্গলবার আরেকটি তালিকা প্রকাশ করলেন৷ যে তালিকায় সংরক্ষণের ক্ষেত্রে বেশ কিছু পরিবর্তন হয়ে গেল৷ এটা একটা চক্রান্ত হতে পারে বলে আমাদের সন্দেহ৷ তাই পুরআইনে সংরক্ষণের বিধি জানতে আইনজীবীদের সঙ্গে আলোচনা করছি৷ অনিয়ম বেরিয়ে এলে আইনি পদক্ষেপ নেব। না হলে এই তালিকা মেনে নেব৷’’
নিজের ওয়ার্ডে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে সংরক্ষণের গেঁরো থেকে বেরিয়ে আসা আরেক পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা তৃণমূলের শহর ব্লক সভাপতি দীপ্তবাবু বলেন, ‘‘এটা কমিশনের ব্যাপার৷ এ নিয়ে কিছু বলব না৷’’
জেলাশাসক নিখিল নির্মল বলেন, ‘‘নির্বাচন কমিশন থেকে ১৬ অগস্ট একটি নোটিশ দিয়ে ২০ অগস্ট তালিকা প্রকাশ করতে নিষেধ করা হয়েছিল৷ কিন্তু ওই নোটিশ কোনও কারণে আমরা না পাওয়াতেই ওই দিন তালিকা প্রকাশ হয়। তা ছাড়া, সংরক্ষণের ক্ষেত্রে কমিশনের যে নীতি রয়েছে, তা নিয়েও কিছু ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল৷ সেজন্যই তা ঠিক করে মঙ্গলবার নতুন করে খসড়া তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে৷’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy