বর্তমান শিলিগুড়ি পুরসভা বোর্ডের দুই বছর পূর্তি উদযাপন এবং রিপোর্ট কার্ডের পারফরম্যান্স রিপোর্ট উপস্থাপন দীনবন্ধু মঞ্চে। ছবিঃ বিনোদ দাস।
‘মেয়রকে বলো’র মতো বিভিন্ন কর্মসূচি দিয়ে বাসিন্দাদের অভাব-অভিযোগের ৫৮ শতাংশ মেটানো হয়েছে। ২৭ শতাংশ মেটানোর কাজ চলছে। শুক্রবার শিলিগুড়ি পুরসভার বর্তমান বোর্ডের দু’বছর পূর্তি অনুষ্ঠানে ওই ‘রিপোর্ট কার্ড’ই দিলেন কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার দীনবন্ধু মঞ্চে এই অনুষ্ঠানে ‘রিপোর্ট কার্ড’ এবং দু’বছরের পারফরম্যান্স রিপোর্টের বই প্রকাশ করেন পুর কর্তৃপক্ষ। এ দিন ২০টি বই বিলি হয়েছে মেয়র পারিষদ, প্রশাসনের আধিকারিকদের কাছে। শুক্রবার সাধারণ বাসিন্দা এবং বাকিদের জন্য দেওয়া হবে। ওয়েবসাইটেও তোলা হবে। বিরোধীদের অভিযোগ, এ সব ‘আইওয়াশ’। বাস্তবে কোনও উন্নয়ন হচ্ছে না। এই পুরবোর্ডকে বিরোধীরা ‘নন পারফর্মিং’ বলে অভিযোগ তুলেছে।
এ দিন অনুষ্ঠানে বিরোধীদের মঞ্চে ডাকা হলেও, কেউ উপস্থিত ছিলেন না। মেয়র গৌতম দেব বলেন, ‘‘দু’বছর আগে, এই দিনে যখন আমরা দায়িত্ব নিয়েছিলাম তখন অঙ্গীকার ছিল স্বচ্ছতার সঙ্গে পরিচালনা করব। আমাদের প্রতিটি কাজ মানুষ পর্যালোচনা করুন, সমালোচনা করুন, পথনির্দেশ করুন। আমরা প্রতি বছর মূল্যায়ন পুস্তিকা, রিপোর্ট কার্ড নিয়ে মানুষের কাছে যাব। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দুয়ারে সরকারের মধ্যে দিয়ে মানুষের কাছে পৌঁছন। পুরসভার ক্ষেত্রে সে নীতি বজায় রাখতে আমরা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।’’
পুরসভার ‘রিপোর্ট কার্ড’-এ জানানো হয়েছে, ‘টক টু মেয়র’, ‘রাইট টু মেয়র’, ‘হোয়াটসঅ্যাপ টু মেয়র’, ‘মানুষের কাছে চলো’— এই সব কর্মসূচিতে ২,৭২৭টি অভিযোগ দু’বছরে মিলেছে। ৫৯ শতাংশের সমাধান হয়েছে। অভিযোগের মধ্যে পূর্ত বিভাগের অধীনে থাকা সমস্যাই বেশি। এর পরে বিল্ডিং সেল, সাফাই এবং পানীয় জলের সমস্যা।
পুরসভার বিরোধী দলনেতা বিজেপির অমিত জৈন বলেন, ‘‘ওঁদের সাফল্য ওঁরা চোখ বন্ধ করে অনেক কিছু দেখছেন। বাস্তবে কিছু দেখা যাচ্ছে না।’’
সিপিএমের পুরসভার পরিষদীয় নেতা মুন্সি নুরুল ইসলাম বলেন, ‘‘এই পুরবোর্ড নন-পারফর্মিং। এরা কেবল নাচা-গানা, খেলাধুলো, খাওয়া-দাওয়া— এ সব নিয়েই চলছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy