সভায় অনিত থাপা। নিজস্ব চিত্র।
তিন জনই প্রকাশ্যে তৃণমূলের পাশে থাকার বার্তা দেন। তিন জনই নিজেদের শাসকদলের সহযোগী হিসাবেও দাবি করেন। কিন্তু রবিবার শিলিগুড়িতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দুর্গাপুজোর বিজয়া সম্মিলনীতে ডাক পেলেন একজন, গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চার সভাপতি অনীত থাপা। তিনি বিধানসভা ভোটের আগে অবধি জিটিএ চেয়ারম্যানও ছিলেন। শহরের বাঘাযতীন পার্কের মঞ্চে দেখা মিলল না গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সভাপতি বিমল গুরুং বা প্রাক্তন মোর্চা নেতা বিনয় তামাংয়ের। আবার মুখ্যমন্ত্রী মঞ্চ থেকে ‘আমাদের পাহাড়ের বন্ধু’ হিসাবে অনীতের নামও ঘোষণা করে দলের বাইরে এবং ভিতরে সব পক্ষকেই বার্তা দিলেন বলে মনে করা হচ্ছে। অনীতকে দিয়ে ক্লাবকে পুরস্কারও দেওয়ানো হয়েছে।
কেন মুখ্যমন্ত্রীর অনুষ্ঠানে পাহাড়ের বাকিদের নেতাদের ডাকা হল না, তা নিয়ে অবশ্য সরকারিস্তরে কেউ কোনও কিছুই বলতে চাননি। গুরুং বা বিনয়েরা রাত অবধি কোনও মন্তব্য করেননি। পুলিশ অনুষ্ঠানের আয়োজক ছিল। রাজ্য পুলিশের উত্তরবঙ্গের এক কর্তার কথায়, ‘‘কাদের ডাকা হবে, কাদের মঞ্চে বসানো হবে, সব কলকাতা থেকে নির্দেশ রয়েছে।’’ আর অনীত বলেছেন, ‘‘বাকিদের কেন ডাকেনি, আমি কী জানি! আমাকে ডাকা হয়েছে, আমি এসেছি। ২০১৭ সালে থেকে রাজ্যের সঙ্গে মিলে কাজ করছি। আগামীতেও করব।’’
এ বারে বিধানসভা ভোটের ফল বার হতেই দলীয় কোন্দলের কথা বলে মোর্চা ছাড়েন বিনয়। দলীয় পতাকা গুরুংকে ফিরিয়ে দেন তিনি। যা তৃণমূল নেতৃত্বের খুব একটা পছন্দ হয়নি বলেই দলের দাবি। সূত্রের খবর, বিনয় তৃণমূলে যোগ দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশও করেছিলেন। কিন্তু সবুজ সংকেত মেলেনি। তাই মুখ্যমন্ত্রীর অনুষ্ঠানে তাঁকে ডাকা হবে না, এটা ধরাই যেতে পারে। সেই জায়গায় টানা যোগযোগ রেখে নতুন দল গড়েছেন অনীত। যা গুরুংকেও চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দিয়েছে। গত কয়েক দিনে একাধিকবার অনীত থাপার সঙ্গে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের কথা হয়েছে। পাহাড়ের ধসে বিপর্যস্ত সামগ্রিক পরিস্থিতির কথা তিনি নবান্নে জানিয়েছেন। তার পরে তাঁর মঞ্চে থাকা অস্বাভাবিক নয়, বলছে পাহাড়ের ওয়াকিবহাল মহল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy