দার্জিলিং হিলস বিশ্ববিদ্যালয়। নিজস্ব চিত্র।
এমনিতেই এ বছর নতুন পড়ুয়া ভর্তির প্রক্রিয়া হয়নি। এ বার দার্জিলিং হিলস বিশ্ববিদ্যালয়ে অন লাইনে যেটুকু ক্লাস চলছিল, তা বন্ধ হয়ে গেল। ১০ জানুয়ারি থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত প্রথম এবং তৃতীয় সিমেস্টারের পরীক্ষার কথা ছিল। তা-ও হল না। তাতে ওই পড়ুয়াদের ভবিষ্যত অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। এই পরিস্থিতিতে অবিলম্বে উচ্চ শিক্ষামন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়ে আর্জি জানানো হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের আধিকারিকের তরফে। আচার্য তথা রাজ্যপালের দফতরেও জানানো হয়েছে। জানানো হয়েছে মুখ্য সচিবের দফতর থেকে শুরু করে ‘গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়ান অ্যাডমিনিস্ট্রেশন’ (জিটিএ) কর্তৃপক্ষকেও। পড়ুয়াদের তরফে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে রাজ্যপাল তথা আচার্য, উচ্চ শিক্ষা মন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে চিঠি পাঠানো হলেও, এখনও পর্যন্ত জবাব না মেলায় উদ্বেগ বেড়েছে বলে দাবি।
গত জুন মাসে অস্থায়ী উপাচার্য প্রেম পোদ্দারের মেয়াদ ফুরনোর পর থেকেই কার্যত ‘অভিভাবকহীন’ হয়ে পড়ে দার্জিলিং হিলস বিশ্ববিদ্যালয়। চতুর্থ সিমেস্টারের পড়ুয়ারা চূড়ান্ত শিক্ষা বর্ষের পরীক্ষা দিয়ে বেরিয়ে যান। ২০২১ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম এবং পরের বছর দ্বিতীয় দফায় পড়ুয়া ভর্তি হয়েছিল। এ বছর ভর্তির প্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে যায়। উপাচার্য, রেজিস্ট্রার, ফিনান্স অফিসার কেউ নেই। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা সমূহের নিয়ামক দেবাশিস দত্ত হিলস বিশ্ববিদ্যালয়ের একই পদে অতিরিক্ত দায়িত্বে রয়েছেন। আর কোনও আধিকারিক নেই। হিলস বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঁচটি বিষয়ে পড়াশোনা শুরু হয়েছিল। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই সমস্ত বিষয়ের বিভাগীয় প্রধানেরা ‘সাবজেক্ট কো-অর্ডিনেটর’ হিসাবে কাজ করছেন। নির্দিষ্ট সংস্থাকে (এজেন্সি) দিয়ে ভর্তির প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে যে অর্থ দরকার তা না মেলায়, সে কাজ করা সম্ভব হয়নি। একই কারণে পরীক্ষাও এ বার নেওয়া সম্ভব হল না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy