ভয় দেখিয়ে এক নাবালিকাকে দিনের পর দিন ধর্ষণের অভিযোগ উঠল প্রতিবেশী বৃদ্ধের বিরুদ্ধে। অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়া ওই কিশোরী বর্তমানে আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন৷ রবিবার আলিপুরদুয়ার মহিলা থানায় অভিযোগ দায়ের করে ওই কিশোরী। অভিযুক্তের খোঁজ করছে পুলিশ৷
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বিবেকানন্দ ২ পঞ্চায়েত এলাকায় বাবা-মায়ের সঙ্গেই থাকে নবম শ্রেণির ছাত্রী ওই কিশোরী৷ তার বাবা পেশায় দিনমজুর৷ মা পরিচারিকার কাজ করেন৷ তাই প্রতিদিনই সকাল বেলায় কাজে বেরিয়ে যান তাঁরা৷ ফেরেন বিকেল বা সন্ধ্যায়৷ তাই স্কুলের সময়টুকু ছাড়া বাড়িতে একাই থাকত ওই কিশোরী৷ অভিযোগ, সেই সুযোগকেই কাজে লাগায় পড়শি ওই বৃদ্ধ৷ অভিযোগ, গত কয়েক মাস থেকে ওই দম্পতি কাজে বেরিয়ে যাওয়ার পরে মেয়েকে একা দেখলেই সে বাড়িতে চলে আসত। ভয় দেখিয়ে ওই বৃদ্ধ কিশোরীকে দিনের পর দিন ধর্ষণ করত বলে অভিযোগ। কিশোরীর বাবা বলেন, ‘‘কাউকে বললে প্রাণে মেরে ফেলবে বলে মেয়েকে হুমকি দিত৷ বলত টাকার জোর না থাকায় ওর বিরুদ্ধে আমরা কোনও ব্যবস্থা নিতে পারব না৷”
কিশোরীর পরিজনেরা জানিয়েছেন, শনিবার রাতে বাড়িতে আচমকাই অসুস্থ হয়ে পড়ে সে৷ পেটে প্রচণ্ড ব্যথা শুরু হয়৷ বাড়ির লোকেরা স্থানীয় এক চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গেলে তিনি জানিয়ে দেন, ওই কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা৷ এরপর বাড়ির লোকেদের সব কথা খুলে বলে কিশোরী৷ ঘটনা জানাজানি হতে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যেও ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়৷ টের পেয়ে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত৷ স্থানীয়রাই রবিবার বাড়ির লোক-সহ কিশোরীকে আলিপুরদুয়ার মহিলা থানায় নিয়ে যান৷ সেখানে কিশোরী নিজেই অভিযোগ দায়ের করার পর পুলিশ তাকে আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে ভর্তি করে৷
কিশোরীর বাড়ির লোকেদের অভিযোগ, থানা থেকে তাঁদের অভিযোগপত্রের রিসিভড কপি দেওয়া হয়নি৷ পুলিশের এক কর্তা অবশ্য বলেন, কিশোরী অভিযোগ দায়েরের পরই হাসপাতালে ভর্তি হয়ে যাওয়ায় সেই সময় রিসিভড কপি দেওয়া হয়নি৷ সোমবার রাতে নির্যাতিতার বাড়িতে গিয়ে সেই কপি দিয়ে আসে পুলিশ। জেলা পুলিশ সুপার সুনীল যাদব বলেন, “কিশোরীর নিজেই ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেছে৷ সে অন্তঃসত্ত্বা বলে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে৷ অভিযুক্তের খোঁজ করা হচ্ছে৷”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy