Advertisement
২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪
Coronavirus

করোনা প্রকোপে রাশ মেডিক্যালে

শনিবারও মেডিক্যালের দুই চিকিৎসকের শরীরে করোনার সংক্রমণ মিলেছে। তাঁদের মধ্যে এক জন মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসক, আর এক জন ইন্টার্ন।

প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

নিজস্ব সংবাদদাতা 
শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ০৭ জুন ২০২০ ০৩:৫৪
Share: Save:

করোনার কবলে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল। এখন পর্যন্ত চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মী মিলিয়ে ১২ জনের দেহে সংক্রমণ দেখা গিয়েছে। এঁদের মধ্যে তিন জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। বাকিরা এখনও চিকিৎসাধীন। এর উপরে এঁদের সংস্পর্শে আসার ফলে সব মিলিয়ে ৮০ জনকে কোয়রান্টিনে পাঠানো হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে এক দিকে চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য উদ্বিগ্ন স্বাস্থ্য দফতর। পাশাপাশি এর ফলে চিকিৎসার কাজে খামতি হতে পারে বলে মনে করছেন মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ। জন্য হাসাপাতালে রোগী ভর্তি নিয়ন্ত্রণের কথা জানিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হল শনিবারই।

শনিবারও মেডিক্যালের দুই চিকিৎসকের শরীরে করোনার সংক্রমণ মিলেছে। তাঁদের মধ্যে এক জন মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসক, আর এক জন ইন্টার্ন। এ ছাড়াও মাটিগাড়া উপনগরীর একটি নার্সিংহোমে এক দাঁতের ডাক্তারের শরীরে করোনার সংক্রমণ মিলেছে। তিনি এর মধ্যে নার্সিংহোমে তিনি প্রচুর রোগী দেখেছেন। অস্ত্রোপচারও করেছেন। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালের সংক্রমিত ডাক্তার, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের সংস্পর্শে আসার জন্য ৩৫ জন চিকিৎসক এবং ৪৫ জন নার্সকে কোয়রান্টিনের পাঠাতে হয়েছে। তার ফলে যে হাসপাতালের স্বাভাবিক পরিষেবা চালাতে সমস্যা হচ্ছে, সে কথা মেনে নিয়ে হাসপাতালের সুপার কৌশিক সমাজদার বলেন, ‘‘তাই গুরুতর অসুস্থ, জরুরি পরিস্থিতির রোগী ছাড়া আপাতত কাউকে ভর্তি নেওয়া হচ্ছে না।’’ তবে প্রসূতি বিভাগের চিকিৎসা পরিষেবা বা বহির্বিভাগের পরিষেবা খোলা থাকছে।

এই অবস্থায় কাওয়াখালির সারি কেন্দ্রটিকে কোভিড হাসপাতালে পরিবর্তিত করা হয়েছে। সম্প্রতি সেখানে ভর্তি রোগীদের মধ্যে সংক্রমণ মিলতে শুরু করেছে। শুক্রবার সকালে সেখানে এক করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তি মারাও গিয়েছেন। সে ক্ষেত্রে সারি হাসপাতালের পরিষেবা কোথায় মিলবে, তা স্পষ্ট করে জানানো হয়নি।

করোনা নিয়ন্ত্রণে উত্তরবঙ্গের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক সুশান্ত রায় জানান, মাটিগাড়ার কোভিড হাসপাতালের উপর চাপ বাড়ছিল বলে আরেকটি লেভেল-থ্রি (যেখানে উপসর্গহীন করোনা রোগীদের রাখা যাবে) হাসপাতাল পরিকাঠামো সমেত হাসপাতালের জন্য জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিককে জানানো হয়। তবে সোমবার থেকে কোচবিহার, আলিপুরদুয়ারে কোভিড হাসপাতাল চালু হলে সেই চাপ কমবে বলে মনে করা হচ্ছে।

স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিনও সারি হাসপাতালে ভর্তি এক রোগীর শরীরে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে। তাঁর বাড়ি শিলিগুড়ি লাগোয়া ডাবগ্রাম-২ এলাকায়। শিলিগুড়ি শেঠশ্রীলাল মার্কেটে দর্জির কাজ করতেন। সংক্রমণের খবর মিলতেই বাজারের যে অংশে তাঁর দোকান, সেখানকার একাধিক বাণিজ্যিক ভবনে কারবার বন্ধ হয়ে যায়।

ব্যবসায়ী সমিতির কর্মকর্তা খোকন ভট্টাচার্য জানান, লকডাইনে দোকান বন্ধ থাকলে সংসার চালাতে ওই ব্যক্তি ঘুরে ঘুরে মাছ বিক্রিও করতেন।

মেডিক্যাল সূত্রে জানা গিয়েছে, শিশু বিভাগে চিকিৎসাধীন এক বালকের শরীরে সংক্রমণ ধরা পড়ে। সংক্রমিতদের কোভিড হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে। ফুলবাড়ি-১ এলাকার শ্রীনগরের বাসিন্দা এক কিশোরীর শরীরেও সংক্রমণ মিলেছে। সম্প্রতি বাগডোগরায় মাসির বাড়ি থেকে ফিরেছিল সে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Coronavirus Health Covid-19
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE