অপেক্ষা: শিলিগুড়িতে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালের বহির্বিভাগে শিশুদের নিয়ে বাবা-মায়েরা। নিজস্ব চিত্র।
জ্বর, শ্বাসকষ্ট নিয়ে আরও এক শিশুর মৃত্যু হল উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে। বৃহস্পতিবার ভোরে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে মারা যায় চার মাসের ওই শিশু। নাম মনু শ। শিলিগুড়ির প্রধাননগর এলাকার বাসিন্দা ওই শিশুকে দু’দিন আগে ভর্তি করানো হয়। এই নিয়ে গত ১০ দিনে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে জ্বর নিয়ে অন্তত ৫ জন শিশুর মৃত্যু হল বলে অভিযোগ। তার মধ্যে একটি শিশুকে হাসপাতাল থেকে ছুটি দেওয়ার পর হাসপাতাল চত্বরেই মারা গিয়েছে বলে পরিবারের দাবি। যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, এ দিনের মৃত্যু নিয়ে দুই শিশুর মৃত্যু হল জর, শ্বাসকষ্টে। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালের সুপার সঞ্জয় মল্লিক বলেন, ‘‘জ্বর, শ্বাসকষ্ট নিয়ে এ দিন ভোরে শিশুটির মৃত্যু হয়েছে। দু’দিন আগে তাকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে ভর্তি করানো হয়েছিল।’’ তবে শিশুটির করোনা সংক্রমণ ছিল না। সুপার জানান, করোনা পরীক্ষা রিপোর্ট নেগেটিভ মিলেছিল।
জ্বর, শ্বাসকষ্ট নিয়ে শিশু মৃত্যু এবং ওই উপসর্গ নিয়ে অসুস্থতা বাড়ছে। জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতাল থেকে জ্বর, শ্বাসকষ্ট নিয়ে সঙ্কটজনক অবস্থায় একাধিক শিশুকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে গত কয়েক দিনে রেফার করা হয়েছে বলে হাসপাতালের একটি সূত্রেই খবর। বহির্বিভাগে চিকিৎসা করাতে আসা শিশুদের অনেককে হাসপাতালে ভর্তি করাতেও হচ্ছে। কিন্তু উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল, শিলিগুড়ি হাসপাতালে পরিকাঠামোর খামতি রয়েছে, কখনও ওষুধের ঘাটতিও দেখা দিচ্ছে। তাতে সুষ্ঠু পরিষেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে খামতির আশঙ্কা থাকছে বলে চিকিৎসকদের একাংশেরই অভিযোগ। তার মধ্যে সব চেয়ে বড় সমস্যা, পর্যাপ্ত বেবি মাস্ক হাসপাতালে না থাকায় রোগীর পরিবারকে কিনে দিতে বলা হচ্ছে।
শিলিগুড়ি হাসপাতাল এবং মেডিক্যালের চিকিৎসকদের একাংশই জানান, অনেক সময় কিছু কিছু সরঞ্জাম বা ওষুধের সরবরাহ থাকছে না। তবে কর্তৃপক্ষ চেষ্টা করছেন সে সব সময় মতো সরবরাহ করতে। না থাকলে কিছু জিনিস রোগীর পরিবারকে কিনে আনতে বলতে হচ্ছে। অসুস্থ শিশুদের চিকিৎসার জন্য এখন আইভিআইজি, অ্যালবুমিন ভ্যাঙ্কমাইসিনের মতো ওষুধ তথা ইঞ্জেকশন দরকার পড়ছে। এই সমস্ত জীবনদায়ী ওষুধের দামও প্রচুর। কখনও সে সব ওষুধের সরবরাহে ঘাটতি থাকছে। সরবরাহ হতে কয়েক দিন অপেক্ষা করতে হচ্ছে। সে কারণে রোগীর পরিবারকে কিনে আনতে বলতে হচ্ছে।
নেবুলাইজার যন্ত্রাংশ থাকলেও তা পর্যাপ্ত নয়। পেডিয়েট্রিক ভেন্টিলেটর নেই। ফলে সঙ্কটজনক শিশুর সংখ্যা বাড়লে সমস্যা তৈরি হবে বলে চিকিৎসকদের একাংশের আশঙ্কা। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালের হাসপাতাল সুপার বলেন, ‘‘ওষুধের সরবরাহে সমস্যা এখনও হয়নি। কিছু ওষুধ নেই, অথচ দরকার পড়লে স্থানীয় ভাবে কিনে দেওয়া হচ্ছে।’’ শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অবশ্য সমস্যার কথা মানতে চাননি। বেবি মাস্ক, পেডিয়েট্রিক ভেন্টিলেটর খুব শীঘ্রই আনা হচ্ছে বলে দুই দিন আগে উত্তরবঙ্গের দায়িত্বে থাকা জন স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিক তথা ওএসডি সুশান্ত রায় জানিয়েছিলেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy