নারী ও শিশুকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরী
নরেন্দ্র মোদীর মন্ত্রীসভায় বাংলা থেকে জায়গা পেয়েছেন দু’জন, আসানসোলের সাংসদ বাবুল সুপ্রিয় ও রায়গঞ্জের সাংসদ দেবশ্রী রায় চৌধুরী। দু’জনেই প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন। উত্তরবঙ্গে দলের বিপুল সাফল্যের পরেও কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় আপাতত আর কারও জায়গা না হওয়ায় বিজেপির অনেক নেতাই হতাশ। ২৩ মে’র পরে ভোটের ফল দেখে দলের নেতারা দিল্লিতে দরবার শুরু করেন। দলীয় সূত্রের খবর, কৈলাস বিজয়বর্গীয় থেকে শুরু করে দিলীপ ঘোষদের মাধ্যমে অন্তত দু’টি মন্ত্রিপদ দাবি করা হয়। যোগাযোগ করা হয়, দলের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শিবপ্রকাশ থেকে অরবিন্দ মেননের মত নেতাদের সঙ্গেও।
উত্তরে ৮টি আসনে ৭টি। আর দক্ষিণে ৩৪টির মধ্যে ১১টি আসন। ওই নেতাদের দাবি ছিল পুরস্কার উত্তরের বেশি পাওনা। এতদিন দার্জিলিং থেকে সাংসদ সুরেন্দ্র সিংহ অহলুওয়ালিয়া প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। সেখানে রাজু বিস্তা’র নাম উঠে আসে। আবার জলপাইগুড়ির সাংসদ জয়ন্ত রায় এবং বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদারদের জন্যও কথাবার্তা বলা হয়। রাজ্য নেতারা দিল্লিতে দরবার করলেও বৃহস্পতিবার শেষ সিদ্ধান্ত নিয়ে নেন অমিত শাহ’রা। তাই আপাতত একজন মন্ত্রী নিয়েই ফিরতে হল উত্তরের নেতাদের।
যদিও দলের উত্তরবঙ্গের জোনের আহ্বায়ক রথীন বসু বলছেন, ‘‘বিজেপি সর্বভারতীয় দল। দেশের সমস্ত রাজ্যের মত মন্ত্রীপদ বণ্টন হয়েছে। এখানে উত্তর, দক্ষিণ আলাদা বিষয় নেই। তবে আমরা আশাবাদী আগামী দিনে উত্তরবঙ্গ থেকে আরও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশ্চয়ই হবেন।’’ দলের প্রবীণ ও সঙ্ঘ ঘনিষ্ঠরা অবশ্য বলছেন, ‘‘কাজ দেখে নিশ্চয়ই আগামীতে কেউ কেউ দিল্লিতে জায়গা পেতেও পারেন।’’
দলীয় সূত্রের খবর, এ বার ভোটে প্রথম থেকেই গোটা রাজ্যের সঙ্গে উত্তরবঙ্গে আলাদা করে জোর দিয়েছে বিজেপি। খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী শিলিগুড়ি, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় জনসভা করেছেন। আবার দলের সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ কালিম্পং থেকে রায়গঞ্জ, কোচবিহার, মালদহে কর্মিসভা করেছেন। ফলে জেলা-রাজ্য নেতারা বুঝে যান উত্তরবঙ্গে কতটা গুরুত্ব দিচ্ছে দল। ফল বেরনোর পরে উত্তর থেকেই অন্তত দু’জন মন্ত্রী হবেন এমন প্রচারও হতে থাকে সোশ্যাল মিডিয়ায়। কিন্তু বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কোনওটাই না হওয়ায় কিছুটা হতাশা রয়েছে বিজেপি শিবিরে।
দার্জিলিং পাহাড়ের এক নেতা জানান, রাজু বিস্তাকে প্রার্থী করার পরে তাঁকে নিয়ে একটি নথি বিলি হয়েছিল। সেখানে মোদী ও অমিত শাহের সঙ্গে সাংসদের একাধিক ছবি ছিল। অনেকেই ভেবেছিলেন রাজু বিস্তা সাংসদ হলেই মন্ত্রী হবেন। তাতে পাহাড়ের দাবি সোজা মন্ত্রীসভায় পৌঁছবে। কিন্তু আপাতত তা হল না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy