Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪

কলেজে সংঘর্ষ, জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা

রায়গঞ্জের সুরেন্দ্রনাথ কলেজে সংঘর্ষের ঘটনায় এসএফআইয়ের জেলা সম্পাদক প্রাণেশ সরকার, টিএমসিপির জেলা সভাপতি অজয় সরকার-সহ দুই পক্ষের দশ জন সমর্থকের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা করল পুলিশ।

নিজস্ব সংবাদদাতা
রায়গঞ্জ শেষ আপডেট: ১১ অগস্ট ২০১৪ ০২:৩৩
Share: Save:

রায়গঞ্জের সুরেন্দ্রনাথ কলেজে সংঘর্ষের ঘটনায় এসএফআইয়ের জেলা সম্পাদক প্রাণেশ সরকার, টিএমসিপির জেলা সভাপতি অজয় সরকার-সহ দুই পক্ষের দশ জন সমর্থকের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা করল পুলিশ। সেইসঙ্গে, রায়গঞ্জ থানার আইসি গৌতম চক্রবর্তীর অভিযোগের ভিত্তিতে সংঘর্ষ চলাকালীন কর্তব্যরত পুলিশের উপর হামলা চালানোর অভিযোগে অজ্ঞাত পরিচয় প্রায় পাঁচশো জনের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় পৃথক আরেকটি মামলাও করা হয়েছে।

সংঘর্ষে জখম প্রাণেশবাবু ও এসএফআই পরিচালিত কলেজের ছাত্র সংসদের সহকারি সাধারণ সম্পাদক সায়শ্রী ভৌমিককে শনিবার রাতে রায়গঞ্জ জেলা হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। টিএমসিপির সমর্থকদের গ্রেফতার ও কলেজের শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনার দাবিতে আজ, সোমবার জেলাজুড়ে ছাত্র ধর্মঘটের ডাক দেয় এসএফআই। যদিও এখনও কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। রায়গঞ্জ থানার আইসি বলেন, “দু’পক্ষর নালিশের ভিত্তিতে মামলা করে তদন্ত শুরু হয়েছে। পুলিশের উপর যারা হামলা চালিয়েছিল তাদের চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে।”

পুলিশ সূত্রে খবর, এসএফআইয়ের জেলা সম্পাদক প্রাণেশবাবু টিএমসিপি জেলা সভাপতি অজয়বাবু সহ আরও কয়েক জন টিএমসিপি সমর্থকের বিরুদ্ধে মারধর, টাকা ছিনতাই ও শ্লীলতাহানির অভিযোগ দায়ের করেন। উল্টোদিকে, টিএমসিপির তরফেও প্রাণেশবাবু, সায়শ্রী ও এসএফআইয়ের দুই সমর্থক অংশুমান মুখোপাধ্যায় ও ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক গৌরব সাহার বিরুদ্ধে মারধর ও খুনের চেষ্টার অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

ছাত্র ভর্তিকে কেন্দ্র করে গত বৃহস্পতিবার টিএমসিপি ও এসএফআই সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। অজিত দাস নামে তৃতীয় বর্ষের এক টিএমসিপি সমর্থক জখম হন। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই শনিবার সুরেন্দ্রনাথ কলেজের গেটের সামনে ফের টিএমসিপি ও এসএফআই সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। দুই পুলিশকর্মী ছাড়াও দুই পক্ষের মোট ছ’জন জখম হন। তাঁদের মধ্যে প্রাণেশবাবু ও সায়শ্রীদেবীকে হাসপাতালে নিতে হয়। সংঘর্ষে জখম হন টিএমসিপির জেলা সভাপতি অজয় সরকার-সহ টিএমসিপির চার সমর্থক।

দুই পক্ষকে ঠেকাতে গিয়ে ঘাড়ে ও মাথায় ইটের আঘাত লেগে জখম হন রায়গঞ্জ থানার সাব ইন্সপেক্টর সুশান্ত বৈষ্ণব ও জেলা পুলিশ লাইনের সহকারি সাব ইন্সপেক্টর নিহার দাস। লাঠিচার্জ ও জলকামান ব্যবহার করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ। এসএফআই নেতা গৌরববাবু বলেন, “গায়ের জোরে ছাত্র সংসদ দখল করতে চাইছে টিএমসিপি। তাই মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ নিষ্ক্রিয়।” তিনি জানিয়েছেন, অভিযুক্ত টিএমসিপি সমর্থকদের গ্রেফতার ও কলেজের সুষ্ঠ পরিবেশ ফিরিয়ে আনার দাবিতেই আজ, সোমবার ছাত্র ধর্মঘট ডাকা হয়েছে। অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে টিএমসিপির জেলা সভাপতি অজয়বাবু বলেন, “এসএফআই গত তিন দশক ধরে গায়ের জোরে কলেজের ছাত্র সংসদ নিজেদের দখলে রেখেছে। এ বার প্রতিবাদে নামায় এসএফআই পরিকল্পিতভাবে হামলা চালায়। মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করা হয়।”

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE