বিনিময়ের পরে দেড় বছর কেটে গেলেও রেশন কার্ড মেলেনি। বাজার থেকে চড়া দামে কেরোসিন কিনে রাতের অন্ধকার দূর করতে হচ্ছে সাবেক ছিটমহলের কয়েকশো পরিবারের। চাল থেকে শুরু করে গম সবই তাঁদের কিনতে হচ্ছে বাজার থেকে। বার বার প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানিয়ে হতাশ হয়ে পড়েছেন বাসিন্দাদের অনেকে। বিশেষ করে মাথাভাঙা মহকুমার শীতলখুচি ব্লকের ফলনাপুর, নলগ্রাম, জোংরা, এলাকায় কেউ রেশন কার্ড পায়নি বলে অভিযোগ। দিনহাটার কয়েকটি ছিটমহলের অনেকেও রেশন কার্ড না পাওয়ার অভিযোগ তুলেছেন।
কোচবিহারের জেলাশাসক পি উল্গানাথন বলেন, “বর্তমানে গোটা জেলা জুড়ে প্রায় সাড়ে চার লক্ষ রেশন কার্ড বিলি হচ্ছে। এর মধ্যে সাবেক ছিটমহলের বাসিন্দাদেরও কার্ড রয়েছে।” প্রশাসন সূত্রের খবর, ওই রেশন কার্ডের তালিকায় অনেক সাবেক ছিটমহলের বাসিন্দাদের নাম নেই। প্রশাসনের এক আধিকারিক জানান, জায়গার নাম এবং অনেকের দেওয়া তথ্যে ভুল থাকার জন্য সবার রেশন কার্ড একসঙ্গে আসেনি।
খাদ্য ও সরবরাহ দফতরের কোচবিহার জেলা আধিকারিক কল্যাণ ঘোষ বলেন, “যাঁরা রেশন কার্ড পাননি সেই তালিকা ধরে কাজ শুরু করা হয়েছে। শীঘ্রই সবাই কার্ড হাতে পেয়ে যাবেন।” বাসিন্দারা জানান, চার মাস আগে সাবেক ছিটমহলে রেশন কার্ড দেওয়ার কাজ শুরু হয়। ছিটমহল নিয়ে আন্দোলনকারী নেতা তথা বর্তমানে বিজেপির সঙ্গে যুক্ত দীপ্তিমান সেনগুপ্ত দাবি করেন, সাবেক ছিটের পনেরো হাজারের মধ্যে ছ’হাজারের বেশি বাসিন্দা এখনও রেশন কার্ড পাননি। তিনি বলেন, “মানুষ কষ্টে আছে। অথচ তাঁদের রেশন কার্ড দেওয়ার ব্যাপারে তেমন উদ্যোগ নেই। গরিব মানুষরা খাদ্য সুরক্ষার সুবিধেও পাচ্ছেন না।” বাসিন্দারা জানান, বাজার থেকে ৪০ টাকা লিটার দরে কেরোসিন তেল কিনতে হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy