রেল রেল সূত্রে খবর, আনুমানিক ৩০০ থেকে ৩৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে স্টেশনকে ঢেলে সাজানো হবে। জয়ন্ত জানিয়েছেন, এনজিপি রেল স্টেশনের পাশাপাশি বিশাখাপত্তনম, ইনদওর এবং গুয়াহাটি স্টেশনকেও বিশ্বমানের স্টেশন হিসাবে গড়ে তোলা হবে।
নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন। ফাইল ছবি
বিশ্বমানের করে তোলা হবে নিউ জলপাইগুড়ি (এনজেপি) জংশন স্টেশনকে। এ কথা জানিয়ে শনিবার জলপাইগুড়ির বিজেপি সাংসদ জয়ন্ত রায়কে চিঠি দিলেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে রেল মন্ত্রককে ওই প্রস্তাব দিয়েছিলেন জয়ন্ত। তাঁর দাবি, বিষয়টি নিয়ে রেলমন্ত্রীর সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক হয়েছে। সংসদে অধিবেশন চলাকালীনও জয়ন্ত রেলমন্ত্রীকে বিষয়টি মনে করিয়ে দেন। অবশেষে চিঠি দিয়ে সেই প্রকল্প শুরুর ইঙ্গিত দিয়েছেন রেলমন্ত্রী।
রেল রেল সূত্রে খবর, আনুমানিক ৩০০ থেকে ৩৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে স্টেশনকে ঢেলে সাজানো হবে। জয়ন্ত জানিয়েছেন, এনজিপি রেল স্টেশনের পাশাপাশি বিশাখাপত্তনম, ইনদওর এবং গুয়াহাটি স্টেশনকেও বিশ্বমানের স্টেশন হিসাবে গড়ে তোলা হবে। বাংলায় আপাতত এনজিপি স্টেশনকেই চিহ্নিত করা হয়েছে। আসানসোল স্টেশনের প্রস্তাবও গিয়েছে। জয়ন্ত বলেন, ‘‘উত্তর-পূর্ব ভারতে এনজিপি রেল স্টেশনের গুরুত্ব আমি রেলমন্ত্রীকে বোঝাই। এনজিপি বা শিলিগুড়ি শহরকে কেন্দ্র করে ইন্দো-বাংলাদেশ, ইন্দো-নেপাল, ইন্দো-ভুটান এমনকি সিকিম হয়ে ইন্দো-চিন সীমান্ত রয়েছে। সামরিক দিক থেকে হোক বা পর্যটন— দু’দিক থেকেই এই স্টেশন যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। সে কথা মাথায় রেখেই রেল মন্ত্রক এনজিপি স্টেশনকে বিশ্বমানের স্টেশন হিসেবে তৈরি করতে চলেছে।’’
কী ধরনের পরিবর্তন আনা হবে স্টেশনে? জয়ন্তের কথায়, ‘‘প্রথম দিকে স্টেশনের উত্তর দিকের কাজ শুরু হবে। সৌন্দর্যায়নের কাজ তো হবেই, পাশাপাশি বাড়বে পার্কিংয়ের সংখ্যা। স্টেশনের বিভিন্ন দিকে যে সমস্ত পার্কিং রয়েছে সেগুলোকে সরিয়ে দেওয়া হবে। স্টেশনের মধ্যেই বিভিন্ন স্তরে পার্কিং তৈরি করা হবে। তৈরি হবে অডিটোরিয়াম। বাংলার ঐতিহ্যকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরার জন্য হস্তশিল্পের দোকান থাকবে। পার্কিং থেকে প্ল্যাটফর্মে যাওয়ার রাস্তার দূরত্ব কমবে। ট্রেনের সংখ্যা বাড়বে। বাড়বে কর্মসংস্থান।’’
কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তে খুশি পর্যটন ব্যবসায়ীরাও। মে মাসের ২ তারিখ রেলের আধিকারিকরা এসে সরেজমিনে স্টেশন চত্বর পর্যবেক্ষণ করবেন বলে জানা গিয়েছে।
তবে রাজনৈতিক মহলের মতে, রাজ্যে ‘শিবরাত্রির সলতের’ মতো বিজেপির আশা টিকে রয়েছে উত্তরবঙ্গে। তাই আগামী বছর পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে এনজিপি স্টেশনকে ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ তাৎপর্যপূর্ণ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy