প্রতীকী ছবি
এক নতুন অভিজ্ঞতার সাক্ষী হতে চলেছেন মালদহের ইংরেজবাজার বিধানসভা কেন্দ্রের ভোটাররা। এই কেন্দ্রের ভোটারদের তথ্য যাচাই করা হবে একটি আধুনিক অ্যাপের মাধ্যমে। এই বিশেষ অ্যাপটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘বুথ অ্যাপ’। সম্পূর্ণ নতুন এই ব্যবস্থা মালদহ-সহ রাজ্যের ৬টি জেলার কয়েকটি বিধানসভা কেন্দ্রে চালু হবে বলে নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে নির্বাচন কমিশন ইতিমধ্যেই ভিডিয়ো কনফারেন্স করে জেলার স্তরকে জানিয়েছে। একটি সর্বদল বৈঠকে ‘বুথ অ্যাপ’ নিয়ে জেলা নির্বাচন আধিকারিকদের পক্ষ থেকে একটি প্রাথমিক ধারণা দেওয়াও হয়েছে রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের।
জেলা নির্বাচন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে এই অ্যাপ প্রচলিত ভোটদানের ধারণা অনেকটাই বদলে দেবে। পুরোপুরি আধুনিক করে দেবে ভোটারদের। আগে যে পিভিসি দেওয়া হত, সেটির আয়তন ছিল ছোট। কিন্তু এ বার ইংরেজবাজার বিধানসভা কেন্দ্রের ভোটারদের জন্য যে ইআইএস দেওয়া হবে সেটি আয়তনে অনেকটাই বড়। প্রায় ‘এ ফোর’ মাপের কাগজের অর্ধেক আয়তনের হবে এই ইআইএস।
বুথ অ্যাপ একটি ‘পাইলট প্রজেক্ট’ বলে নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে। এই প্রকল্প সফল হলে পরবর্তীতে রাজ্যের সব বিধানসভা কেন্দ্রেই এই বুথ অ্যাপ চালু হতে পারে বলে ধারণা নির্বাচনের সঙ্গে যুক্ত আধিকারিক ও কর্মীদের। এই অ্যাপটি ব্যবহারের জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণও দেওয়া হবে ভোটকর্মীদের। তবে তার আগে জেলার নির্বাচনের সঙ্গে যুক্ত আধিকারিকদেরও নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে এই অ্যাপ সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ দেওয়া হতে পারে বলে জানা গিয়েছে।
এই বুথ অ্যাপ খুব দ্রুত ব্যবহারের জন্য খুলে দেওয়া হবে বলে ধারণা আধিকারিকদের। নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, মালদহ ছাড়া কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, পশ্চিম মেদিনীপুর, দক্ষিণ কলকাতা ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় সম্ভবত একটি করে বিধানসভা কেন্দ্রে এই অ্যাপের ব্যবহার চালু হবে এই বিধানসভা নির্বাচনে।
মালদহের নির্বাচন সংক্রান্ত অফিসার–ইন–চার্জ লিটন সাহা বলেন, ‘‘মালদহের ইংরেজবাজার বিধানসভা কেন্দ্রে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ অনুযায়ী ‘বুথ অ্যাপ’ চালু করা হচ্ছে। আগে ভোটাররা ফটো ভোটার স্লিপ বা পিভিসি পেতেন। এবার তাঁরা পাবেন ইলেক্টর’স ইনফরমেশন স্লিপ বা ইআইএস। ওই স্লিপে একটি বারকোড থাকবে। স্লিপটি নিয়ে বুথে যাওয়ার পরে ওই বারকোডটি বুথ অ্যাপ দিয়ে স্ক্যান করে নেবেন প্রিসাইডিং অফিসার। তিনি একটি নির্দিষ্ট কোড দিয়ে ওই অ্যাপে লগ ইন করে নেবেন। স্ক্যান করার সঙ্গে সঙ্গে ওই অ্যাপ ভোটারের যাবতীয় তথ্য তুলে ধরবে। এরপরে ভোট দিতে পারবেন সংশ্লিষ্ট ভোটার।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy