তিনটি কলেজের পরিচালন সমিতির পদ থেকে সরানো হল দিব্যেন্দু অধিকারীকে। —ফাইল চিত্র।
তমলুক লোকসভা এলাকার তিনটি কলেজের পরিচালন সমিতির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল তমলুকের তৃণমূল সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারীকে। যদিও সাংসদের দাবি, অনেক আগেই তিনি ওই তিনটি কলেজের সভাপতি পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন। কিন্তু প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, সাংসদকে সরিয়ে প্রশাসক নিয়োগ করা হয়েছে শিক্ষা দফতরের নির্দেশেই।
২০১৬ সালে লোকসভা উপনির্বাচনে জিতে সাংসদ হওয়ার পরেই কাঁথি দেশপ্রাণ মহাবিদ্যালয়, তাম্রলিপ্ত মহাবিদ্যালয় ও নন্দীগ্রাম সীতানন্দ মহাবিদ্যালয়ের পরিচালন কমিটির সভাপতি হন তমলুকের সাংসদ দিব্যেন্দু। এ ছাড়াও দিব্যেন্দুকে মহিষাদল গার্লস কলেজের পরিচালন কমিটির সভাপতি মনোনীত করেছিল বর্তমান রাজ্য সরকারই। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এখন দিব্যেন্দুকে সরিয়ে তাম্রলিপ্ত মহাবিদ্যালয়ে পরিচালন কমিটির প্রশাসক করা হয়েছে তমলুকের মহকুমা শাসক প্রণব সাঙ্গুইকে। নন্দীগ্রাম সীতানন্দ মহাবিদ্যালয়ের প্রশাসক হয়েছেন হলদিয়ার মহকুমাশাসক অবনীত পুনিয়া। কাঁথি দেশপ্রাণ মহাবিদ্যালয়ের প্রশাসক করা হয়েছে কাঁথির মহকুমাশাসক আদিত্য বিক্রম মোহন হিরানিকে।
রাজ্য সরকারের ওই নির্দেশিকা প্রসঙ্গে শনিবার দিব্যেন্দু বলেন, ‘‘আমি অনেক আগেই এই তিনটি কলেজের সভাপতি পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলাম। তাই আমাকে সরানোর প্রশ্ন নেই। তবে রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তকে আমি স্বাগত জানাই।’’ প্রসঙ্গত, গত ১৯ ডিসেম্বর দিব্যেন্দুর দাদা শুভেন্দুর বিজেপি-তে যোগদানের পর থেকেই অধিকারী পরিবারের প্রতি কড়া পদক্ষেপ নেওয়া শুরু করেন তৃণমূল নেতৃত্ব। প্রথমে কাঁথি পুরসভার প্রশাসকের পদ থেকে সরানো হয় অধিকারী পরিবারের বর্ষীয়ান সাংসদ শিশিরের ছোট ছেলে সৌম্যেন্দুকে। তারপর ১২ জানুয়ারি দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় কাঁথির সাংসদ শিশিরকে। ওই পদে বসানো হয় জেলার রাজনীতিতে অধিকারীদের ‘বিরোধী’ বলে পরিচিত রামনগরের বিধায়ক অখিল গিরিকে।
এর পর গত ১৩ জানুয়ারি পূর্ব মেদিনীপুর জেলা তৃণমূলের সভাপতি পদ থেকে সরানো হয় শিশিরকে। সে ক্ষেত্রেও দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল অধিকারী পরিবারের ‘বিরোধী’ বলে পরিচিত সৌমেন মহাপাত্রকে। এ বার কলেজের পরিচালন সমিতির সভাপতির পদ থেকেও শুভেন্দুর সাংসদ ভাইকে সরানো হল। উল্লেখ্য, শুভেন্দুর দলবদলের আগে থেকেই সাংসদ শিশিরকে ‘নাম কা ওয়াস্তে’ দলীয় কর্মসূচিতে আমন্ত্রণ জানানো হলেও কার্যত ‘ব্রাত্য’ করে দেওয়া হয়েছিল তাঁর অন্য দুই পুত্র দিব্যেন্দু ও সৌমেন্দুকে। পরে দাদার হাত ধরে সৌমেন্দু বিজেপি-তে গেলেও শিশির ও দিব্যেন্দু এখনও তৃণমূলেরই সাংসদ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy