Advertisement
০২ নভেম্বর ২০২৪
Land Slide

প্রবল বৃষ্টিতে এ বার ধস নামল বাগরাকোট থেকে সিকিমগামী জাতীয় সড়কে

গত ২-৩ দিন ধরে কালিম্পঙের পাহাড়ি এলাকায় একটানা বৃষ্টি হয়ে চলেছে। তার জেরে ধস নেমেছে ওই জাতীয় সড়কে। শুরু হয়েছে ওই ধস সরানোর কাজ।

ধস নেমেছে জাতীয় সড়কে।

ধস নেমেছে জাতীয় সড়কে। — নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
ওদলাবাড়ি শেষ আপডেট: ১১ অক্টোবর ২০২২ ১৮:২০
Share: Save:

প্রবল বৃষ্টির জেরে এ বার ধস নামল বাগরাকোট থেকে সিকিমগামী জাতীয় সড়ক ৭১৭ এ-তে। তার জেরে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে ইয়েলবং, চুইখিম, বরবট, নিমবং-সহ একাধিক পাহাড়ি গ্রাম। সোমবার রাতে ওই ধস নেমেছে। শুরু হয়েছে তা সরানোর কাজ।

গত ২-৩ দিন ধরে কালিম্পঙের পাহাড়ি এলাকায় একটানা বৃষ্টি হয়ে চলেছে। তার জেরে ধস নেমেছে ওই জাতীয় সড়কে। কালিম্পঙের এলবং এবং চুইখিম এলাকায় ধস নেমেছিল সোমবার রাতে। ওদলাবাড়ি থেকে নাথুলা সীমান্ত যাওয়ার জন্য নতুন করে তৈরি হচ্ছে ৬১ কিলোমিটার রাস্তা। সেখানেই ধস নামে সোমবার রাতে।

শুরু হয়েছে ওই ধস সরানোর কাজ। ওই জাতীয় সড়ক ধরে ৯ কিলোমিটার এগোলে পড়বে পাহাড়ি গ্রাম ইয়েলবং। গত কয়েক বছর ধরে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৪ হাজার ফুট উচ্চতায় অবস্থিত ওই গ্রামে যেতে শুরু করেছেন পর্যটকরা। ধসে এখন যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ওই গ্রামটি। সেখানকার হোম স্টে মালিক নিমা তামাঙ বলেন, ‘‘দুর্গম এই পাহাড়ি পথে একমাত্র যোগাযোগের সড়কটিতে ধস নেমেছে। তার জেরে পর্যটকদের একটি দলকে বাধ্য হয়েই সোমবার ইয়েলবঙে আটকে থাকতে হয়। পরে জাতীয় সড়ক নির্মাণকারী সংস্থার পক্ষ থেকে কয়েক ঘণ্টার চেষ্টায় সড়ক খুলে দেওয়া হয়। ফিরে যান ওই পর্যটকরা।’’

শুরু হয়েছে ধস সরানোর কাজ।

শুরু হয়েছে ধস সরানোর কাজ। — নিজস্ব চিত্র।

জাতীয় সড়ক নির্মাণকারী সংস্থার প্রোজেক্ট ম্যানেজার রাজীব কুমার বলেন, ‘‘গত কয়েক দিন ধরে যে হারে পাহাড়ি এলাকায় ভারী বৃষ্টি হয়ে চলেছে তাতে এক দিকে যেমন একাধিক জায়গায় বিশালাকার ধস নামছে, তেমনই ধসে যাচ্ছে নতুন করে তৈরি করা সড়কের অংশও। চুইখিমের কিছুটা আগে লুপপুলের কাছে সোমবার যে ধস নেমেছিল তা অত্যাধুনিক যন্ত্রের সাহায্যে সরিয়ে যান চলাচল শুরু করা হয়েছে।’’ মঙ্গলবার সকালেও ধস নেমেছে ওই রাস্তার বেশ কিছু অংশে।

অন্য বিষয়গুলি:

Land Slide National Highway
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE