পুরোনো বিবাদের জেরে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করা হয় মহিলাকে। প্রতিবাদ করায় ওই মহিলা ও তাঁর মাকে হাঁসুয়া দিয়ে কোপানোর অভিযোগ উঠলো প্রতিবেশীদের বিরুদ্ধে।
সোমবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটেছে পুরাতন মালদহের হালান মহম্মদপুর গ্রামে। ঘটনায় আক্রান্ত মা ও মেয়ে গুরুতর জখম অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। মঙ্গলবার ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে মালদহ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। তবে এখনও অভিযুক্ত প্রতিবেশীদের কেউ গ্রেফতার না হওয়ায় ক্ষুব্ধ আক্রান্তেরা। মালদহের পুলিশ সুপার অর্ণব ঘোষ বলেন, ‘‘অভিযোগের ভিত্তিতে নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত চলছে। অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পুরাতন মালদহের যাত্রাডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েতের হালান মহম্মদপুর গ্রামের বাসিন্দা রুমেলা বিবিদের সঙ্গে পড়শি কুলসুম বিবিদের মাস ছয়েক ধরে পারিবারিক কারণে গোলমাল চলছে। এমনকী, দুই পরিবারের মধ্যে একাধিকবার হাতাহাতির ঘটনাও ঘটেছে। রুমেলা বিবির স্বামী মনিরুল ইসলাম ভিন রাজ্যে শ্রমিকের কাজ করেন। বাড়িতে ছেলে মেয়ে নিয়ে একাই থাকেন রুমেলা বিবি। ওই গ্রামেই রয়েছে তাঁর মায়ের বাড়ি। অভিযোগ, এ দিন সন্ধে ছটা নাগাদ কুলসুম বিবির স্বামী আসমারুল অশ্লীল ভাষায় রুমেলা বিবির উদ্দেশ্যে গালিগালাজ করছিলেন। প্রতিবাদ করায় হাঁসুয়া দিয়ে আঘাত করা হয় রুমেলা বিবিকে। তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে আক্রান্ত হন তাঁর মা রেণুকা বেওয়া।
ঘটনাকে কেন্দ্র করে গ্রাম জুড়ে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। স্থানীয়েরা ছুটে গেলে পালিয়ে যায় অভিযুক্তেরা। এরপরই আক্রান্ত মা ও মেয়েকে গুরুতর জখম অবস্থায় নিয়ে যাওয়া হয় মৌলপুর গ্রামীণ হাসপাতালে। তবে তাঁদের আঘাত খুবই গুরুতর হওয়ায় চিকিৎসকেরা স্থানান্তরিত করেন মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। পরে পরিবারের তরফ থেকে এ দিন মালদহ থানায় আসমারুল-সহ চার জনের নামে লিখিত অভিযোগ করেন। যদিও অভিযুক্তেরা ফেরার।
রুমেলা বিবি বলেন, ‘‘ছোটদের খেলা নিয়ে গোলমাল হয়েছিল দীর্ঘদিন ধরে। তারপর থেকে আমাকে অহেতুক গালিগালাজ করতে থাকেন আসমারুল ও তাঁর পরিবার। এদিন অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করা হলে সহ্য করতে না পেরে প্রতিবাদ করে আমার উপরে হামলা চালায়। এমনকী, আমার বৃদ্ধ মাকেও হাঁসুয়া দিয়ে আঘাত করা হয়। আমরা থানাতে অভিযোগ করলেও এখনও পুলিশ কাউকে ধরতে পারেনি।’’
অপরাধীদের দ্রুত গ্রেফতার করে শাস্তির দাবি তুলেছেন আক্রান্তের পরিবার। স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য তৃণমূলের রাকেশ আলি বলেন, ‘‘পুলিশকে আইনত পদক্ষেপ করতে বলা হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy